চট্টগ্রামে ডাকাতি ও ৪ নারী ধর্ষণ
মূল পরিকল্পনাকারী হান্নান মেম্বার ৩ দিনের রিমান্ডে
গ্রেফতার এড়াতে পুলিশ অফিসার ভাইয়ের সরকারি কোয়ার্টারে আত্মগোপন করেছিলেন!
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামে প্রবাসীর ঘরে ডাকাতি ও চার নারী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বারকে (৪৫) তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খান রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী যুগান্তরকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আবদুল হান্নানকে বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে পুলিশের অফিসার্স কোয়ার্টার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। আবদুল হান্নানের ছোট ভাই এসআই আবদুল মান্নান বর্তমানে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত আছেন। ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে গ্রেফতার এড়াতে পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের কোয়ার্টারে আত্মগোপন করেছিলেন হান্নান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা যুগান্তরকে বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জন সম্পৃক্ত রয়েছে বলে গ্রেফতার দু’জনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। এর মধ্যে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার আবু সামা নামে এক ব্যক্তি বুধবার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, হান্নান মেম্বারের পরিকল্পনায় প্রবাসীর ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় হান্নান মেম্বার উপস্থিত না থেকেও লুণ্ঠিত অর্থের ৩ হাজার টাকা ভাগ নিয়েছেন। ডাকাতিতে সরাসরি অংশ নেয় ৫ জন। এর মধ্যে আবু সামা বাইরে পাহারায় ছিলেন। বাকি চারজন প্রবাসীর পূরুষশূণ্য ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লুট করার পাশাপাশি চার নারীকে ধর্ষণ করে। ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত মিজান মাতব্বর নামে একজন মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সময় তিনি আবু সামা, ইলিয়াছসহ জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করেন।
১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
