Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

মাদারীপুরে সালিশ মীমাংসা

কিশোরীকে জুতাপেটায় অংশ নেন মানবাধিকার কর্মীও!

Icon

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘খারাপ’ চরিত্রের আখ্যা দিয়ে মাদারীপুরে কিশোরীকে জুতাপেটায় সরাসরি অংশ নেন এক মানবাধিকার কর্মীও। তিনি মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী সংস্থার তৃণমূলের নেত্রী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদারীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইয়ুব খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজাম খান, সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক খান, স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের তৃণমূল কর্মী আকলিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে আইয়ুব খান, মুজাম খান, সামসুল হক খান কিশোরীকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০টি জুতাপেটার নির্দেশ দেন। আর জুতাপেটায় অংশ নেন মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের তৃণমূল সংগঠন ‘কমিউনিটি বেজ অর্গানাইজেশন (সিবিও) কমিটির সদস্য আকলিমা বেগম। একজন মানবাধিকার কর্মী কি করে এ ধরনের কাজ করতে পারেন- সেই প্রশ্নই এখন সাবার মুখে। লাঞ্ছিতা কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, ‘প্রভাবশালীরা তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’

মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী খান মো. শহীদ বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইন সহায়তা দিতে আমরা স্থানীয় পর্যায়ে সমাজভিত্তিক কমিটি করে থাকি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে। যদি কেউ এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘ওই কিশোরীর পরিবার যদি আইনগত সহায়তা চায়, আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেব।’মাদারীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু নাইম জানান, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’উল্লেখ্য, দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর শহরের মধ্য খাগদি এলাকার এক কিশোরীকে কৌশলে বিক্রি করে দেয় একই এলাকার কুদ্দুস শরীফের ছেলে হাসান শরীফ। পরে সদর উপজেলার খাগছাড়ার করমবাজার থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে সালিশ মীমাংসার নামে জুতাপেটা করা হয় ওই কিশোরীকে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম