Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল

এমআরদের হয়রানিতে রোগীরা

Icon

উত্তরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উত্তরায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে বাণিজ্য ও হয়রানি চলছে। কিছু ওষুধ কোম্পানির এমআর এবং ভৌতিক বিল ও গলাকাটা চিকিৎসা দেয়া কিছু প্রাইভেট ক্লিনিকের অর্ধশত দালাল প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল গেটে অবস্থান করে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জিম্মি করে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। দু’তিন দিন তাদের ক্লিনিকে রাখতে পারলেই ধরিয়ে দেয় লাখ টাকার ভৌতিক বিল। অপর দিকে কোনো রোগী সরকারি এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে বের হতেই গেটের দু’পাশে ওঁৎ পেতে থাকা ওষুধ কোম্পানির এমআররা রোগীকে ঘিরে ধরেন। তারা রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশন কেড়ে নিয়ে ডাক্তার তাদের কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন কিনা তার নোট নেন। কেউ কেউ মোবাইলে প্রেসক্রিপশনের ছবিও তোলেন। এতে রোগীদের চরম হয়রানি হতে হচ্ছে।

সরেজমিন ওই হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতাল গেটের দু’ধারে ডজনখানেক মোটরসাইকেল পার্কিং করে এমআররা রোগীদের হয়রানি করছেন। দু’জনকে হয়রানির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা এড়িয়ে যান। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এমআর বলেন, ওষুধ কোম্পানি ডাক্তারদের নিয়মিত বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে। এজন্য রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে এটা দেখেন যে, তাদের কোম্পানির ওষুধের নাম যথাযথ লিখেছেন কিনা। এ কাজ অন্যায় কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ন্যায়-অন্যায় কোম্পানি জানে। তিনি এ কাজের জন্যই নিয়োগ পেয়েছেন।

রোগী আঁখি আক্তার বলেন, একজন নারীকে তিন-চারজন পুরুষ এভাবে ঘিরে ধরা আর প্রেসক্রিপশন কাড়াকাড়ি করা ঠিক নয়। এসব হয়রানি বন্ধ হওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। জানতে চাইলে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম ছিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালে দালালদের মাধ্যমে রোগী হয়রানির বিষয়টি আগে কেউ বলেননি। তাছাড়া হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার দেখার জন্য হাসপাতালেই কমিটি আছে। যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ করেন তাহলে তিনি যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াদিয়া বেগম যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ হয় বলে ওষুধ কোম্পানির এমআরদের প্রতি সপ্তাহে দু’দিন দুপুর ১টার পরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি আছে। রোগী বা রোগীর স্বজন ও অন্য কাউকে হয়রানি এবং হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করা নিষেধ। তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দালাল ও এমআরদের রোগী হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম