Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

পবিত্র আশুরা আজ

Icon

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসের শোকাবহ একটি দিন। কারবালার প্রান্তরে ঐতিহাসিক বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যে পবিত্র আশুরা পালিত হচ্ছে।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

আপাতদৃষ্টিতে কারবালার প্রান্তরে বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে দিনটি পালন করা হলেও ইসলামের ইতিহাসে এ দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ঐতিহাসিক। কারণ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এদিন সংঘটিত হয়েছিল। তাই বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ যথাযথ মর্যাদায় দিনটিকে স্মরণ করে থাকে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, আশুরা হল ইসলামের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস। এটি প্রতি হিজরি সনের মহররম মাসের দশ তারিখে পালিত হয়। আরবিতে ‘আশারা’ মানে ১০। আর সে কারণে দিনটিকে আশুরা বলে অভিহিত করা হয়। মহররমের ৯ তারিখের দিবাগত রাত থেকে আশুরা পালন শুরু হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে এ দিনটি বিশেষ মর্যাদাময়। কেননা এই দিনে হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামের তৎকালীন শাসনকর্তা এজিদের সেনাবাহিনীর হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়েছিলেন।

ইসলামের ইতিহাস অনুসারে এ দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি একটি পবিত্র দিন, কেননা ১০ মহররম তারিখে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ দিন নবী মূসা (আ.)-এর শত্রু ফেরাউনকে নীলনদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। এ দিনে নূহ (আ.)-এর কিস্তি ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পায়। এ দিনে দাউদ (আ.)-এর তাওবা কবুল হয়। নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ইব্রাহিম (আ.) উদ্ধার পান। আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন। এ দিনেই আল্লাহতায়ালা ঈসা (আ.)-কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, এ তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।

এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের হবে। এছাড়া নগরের মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরানা পল্টনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে। তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, তাজিয়া মিছিলে অনেকে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এতে নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তা বিঘিœত হয়। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম