আমরা কি মশার সঙ্গে পারছি না?
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী তার এক প্রবন্ধে ‘মাছি মারা’ নিয়ে কথা বলেছিলেন।
মাছি মারা নিয়ে তার ওই কথাগুলো ছিল এরকম- “মাছি-মারা- কেরানি নিয়ে যত ঠাট্টা-রসিকতাই করি না কেন, মাছি ধরা যে কত শক্ত সে কথা পর্যবেক্ষণশীল ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করে নিয়েছেন, মাছিকে যেদিক দিয়েই ধরতে যান না কেন, সে ঠিক সময়ে উড়ে যাবেই।”
তিনি যদিও তার এ মন্তব্যটি সত্যিকরার্থে মাছি মরার বিষয়ে বলেননি। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে মাছি মারা নিয়েই বলেছেন- তাতেও একটা যুক্তি আছে। কারণ মাছির পুরো মাথাটাই ‘চোখ’। অর্থাৎ যেদিক থেকেই তাকে আঘাত করা হোক না কেন সে তা দেখতে পায়। ফলে সে আত্মরক্ষা করতে পারে। আজ কিন্তু আমরা মাছি মারা নিয়ে কোন কথা বলছি না। আমরা বলতে চাই শুধু ‘মশা মারা’ নিয়ে।
মাছি মারার চাইতে মশা মারা খুবই সহজ। কারণ, মাছির মতো মশার মাথার চারপাশে চোখ নেই। অর্থাৎ মাছির মতো মশার পুরো মাথাই চোখ নয়। কিন্তু এর পরও কেন আমরা মশা মারতে পারি না? একজন নাবালককেও যদি প্রশ্ন করা হয় সে জবাব দিবে, সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে না, তাই মশা মরছে না।
আর এ কারণেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। প্রতিদিন যে হারে প্রাণহানি ঘটছে সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পেরেশানি দেখা যাচ্ছে না। যেখানে শুধু ডেঙ্গু মশা মারতে পারলেই শ শ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব সেখানে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা সিরিয়াস না হওয়ার কী বা কারণ থাকতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেখানে বারবারই বলছে, মশা মারতে আরও সিরিয়াস হতে। কারণ ঢাকার হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেড পাওয়া দূরে থাক হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীতে পূর্ণ।
গত ২৭ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন ওই দিন পর্যন্ত ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারের চারশ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তাতে গড়ে রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের ৭০ শতাংশই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচের তথ্যে অনেকই নানা সমালোচনা করেছেন, এখনো করছেন। তবে মশা মারতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থায়ী সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থ যথাযথ ব্যয় করতে পারলে মশা বংশ স্বমূলে ধ্বংস করা যেত। কিন্তু না, সেটি হচ্ছে না। ঢাকার সড়ক ও অলিগলিতে এখন আর মশার ওষুধ ছিটাতে খুব একটা দেখা যায় না। মাত্র কয়েক দিন বেঁচে থাকে একটি মশা, আর এই ডেঙ্গু নামের এই ভয়ঙ্কর মশা স্বমূলে ধ্বংস করে দিতে পারলেই এতো প্রাণহানি ঘটে না। হাসপাতালগুলোকে হিমশিম খেতে হয় না।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভালেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন বা নিপসম-এর কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম সারোয়ারের ভাষ্য, বিষাক্ত পদার্থ (কীটনাশক) কীটনাশক ক্ষমতা হারিয়ে মশার বিরুদ্ধে তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে। কীটবিজ্ঞানীরা এই ঘটনার কারণ হিসেবে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক প্রয়োগে বা তাদের প্রচলিত ফগার মেশিন দিয়ে লার্ভা ধ্বংস করতে মশা-বিরোধী কর্মীদের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন।
নিপসম কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন, দুটি বিশেষ কীটনাশক ম্যালাথিয়ন এবং টেমেফোস বর্তমানে যথাক্রমে মশা এবং তাদের লার্ভা মারতে ব্যবহৃত হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশনের নিয়োগকৃত কর্মীরা দৃশ্যত তাদের জ্ঞানের অভাবে যথাযথ মাত্রায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারেনি, যা মূলত ডেঙ্গু বহনকারী মশাকে কীটনাশক প্রতিরোধী করে তুলেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ডক্টর কবিরুল বাশারের ভাষ্য হচ্ছে, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে ডেঙ্গুর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এডিস মশার প্রজনন প্রকৃতি এবং জীবনচক্র বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকার উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন উভয়কেই প্রধানত রাজধানীর মশা নির্মূলের দায়িত্ব প্রাপ্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষের করের টাকায় করপোরেশন চললেও এখানকার করদাতাদের জন্য ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে পারছে না দুই সিটি। তাছাড়া সারাদেশ মশার কামড় অব্যাহত রয়েছে। মশার কামড় থেকে দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কার্যকর কীটনাশক যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে যেখানে এডিশ মশার বংশ ধ্বংস করা যায়, সেখানে আমরা মশার সঙ্গেই ফাইট করতে পারছি না। কীটনাশক ক্রয় ও প্রয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ‘ডেঙ্গু ড্রপস’ অ্যাপের উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘মশা না কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে না’। তিনি জানান, ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গুর ওপরে চিকিৎসক-নার্সদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় কোনো ঘাটতি নেই। ডেঙ্গু রোগী কমছে না, বরং আরো বাড়ছে।
এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। তিনি বলেন, এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নিস্তার মিলবে না ডেঙ্গু রোগ থেকে। তাই সংশ্লিষ্টদের মনোযোগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রীর এ বক্তব্যে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন এডিস মশা কমাতে হবে। মশা না থাকলে তো আর ডেঙ্গু রোগী থাকবে না। সেকারণে তিনি মশা মরার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। বুধবার রাতে এ লেখাটি লেখার সময় পর্যন্ত এ বছর ৬৭১ জন প্রাণ হারিয়েছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে; যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
আমরা কি মশার সঙ্গে পারছি না?
হাসান আল বান্না
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৫৯:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী তার এক প্রবন্ধে ‘মাছি মারা’ নিয়ে কথা বলেছিলেন।
মাছি মারা নিয়ে তার ওই কথাগুলো ছিল এরকম- “মাছি-মারা- কেরানি নিয়ে যত ঠাট্টা-রসিকতাই করি না কেন, মাছি ধরা যে কত শক্ত সে কথা পর্যবেক্ষণশীল ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করে নিয়েছেন, মাছিকে যেদিক দিয়েই ধরতে যান না কেন, সে ঠিক সময়ে উড়ে যাবেই।”
তিনি যদিও তার এ মন্তব্যটি সত্যিকরার্থে মাছি মরার বিষয়ে বলেননি। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে মাছি মারা নিয়েই বলেছেন- তাতেও একটা যুক্তি আছে। কারণ মাছির পুরো মাথাটাই ‘চোখ’। অর্থাৎ যেদিক থেকেই তাকে আঘাত করা হোক না কেন সে তা দেখতে পায়। ফলে সে আত্মরক্ষা করতে পারে। আজ কিন্তু আমরা মাছি মারা নিয়ে কোন কথা বলছি না। আমরা বলতে চাই শুধু ‘মশা মারা’ নিয়ে।
মাছি মারার চাইতে মশা মারা খুবই সহজ। কারণ, মাছির মতো মশার মাথার চারপাশে চোখ নেই। অর্থাৎ মাছির মতো মশার পুরো মাথাই চোখ নয়। কিন্তু এর পরও কেন আমরা মশা মারতে পারি না? একজন নাবালককেও যদি প্রশ্ন করা হয় সে জবাব দিবে, সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে না, তাই মশা মরছে না।
আর এ কারণেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। প্রতিদিন যে হারে প্রাণহানি ঘটছে সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পেরেশানি দেখা যাচ্ছে না। যেখানে শুধু ডেঙ্গু মশা মারতে পারলেই শ শ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব সেখানে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা সিরিয়াস না হওয়ার কী বা কারণ থাকতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেখানে বারবারই বলছে, মশা মারতে আরও সিরিয়াস হতে। কারণ ঢাকার হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেড পাওয়া দূরে থাক হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীতে পূর্ণ।
গত ২৭ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন ওই দিন পর্যন্ত ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারের চারশ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তাতে গড়ে রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের ৭০ শতাংশই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচের তথ্যে অনেকই নানা সমালোচনা করেছেন, এখনো করছেন। তবে মশা মারতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থায়ী সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থ যথাযথ ব্যয় করতে পারলে মশা বংশ স্বমূলে ধ্বংস করা যেত। কিন্তু না, সেটি হচ্ছে না। ঢাকার সড়ক ও অলিগলিতে এখন আর মশার ওষুধ ছিটাতে খুব একটা দেখা যায় না। মাত্র কয়েক দিন বেঁচে থাকে একটি মশা, আর এই ডেঙ্গু নামের এই ভয়ঙ্কর মশা স্বমূলে ধ্বংস করে দিতে পারলেই এতো প্রাণহানি ঘটে না। হাসপাতালগুলোকে হিমশিম খেতে হয় না।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভালেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন বা নিপসম-এর কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম সারোয়ারের ভাষ্য, বিষাক্ত পদার্থ (কীটনাশক) কীটনাশক ক্ষমতা হারিয়ে মশার বিরুদ্ধে তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে। কীটবিজ্ঞানীরা এই ঘটনার কারণ হিসেবে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক প্রয়োগে বা তাদের প্রচলিত ফগার মেশিন দিয়ে লার্ভা ধ্বংস করতে মশা-বিরোধী কর্মীদের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন।
নিপসম কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন, দুটি বিশেষ কীটনাশক ম্যালাথিয়ন এবং টেমেফোস বর্তমানে যথাক্রমে মশা এবং তাদের লার্ভা মারতে ব্যবহৃত হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশনের নিয়োগকৃত কর্মীরা দৃশ্যত তাদের জ্ঞানের অভাবে যথাযথ মাত্রায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারেনি, যা মূলত ডেঙ্গু বহনকারী মশাকে কীটনাশক প্রতিরোধী করে তুলেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ডক্টর কবিরুল বাশারের ভাষ্য হচ্ছে, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে ডেঙ্গুর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এডিস মশার প্রজনন প্রকৃতি এবং জীবনচক্র বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকার উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন উভয়কেই প্রধানত রাজধানীর মশা নির্মূলের দায়িত্ব প্রাপ্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষের করের টাকায় করপোরেশন চললেও এখানকার করদাতাদের জন্য ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে পারছে না দুই সিটি। তাছাড়া সারাদেশ মশার কামড় অব্যাহত রয়েছে। মশার কামড় থেকে দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কার্যকর কীটনাশক যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে যেখানে এডিশ মশার বংশ ধ্বংস করা যায়, সেখানে আমরা মশার সঙ্গেই ফাইট করতে পারছি না। কীটনাশক ক্রয় ও প্রয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ‘ডেঙ্গু ড্রপস’ অ্যাপের উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘মশা না কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে না’। তিনি জানান, ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গুর ওপরে চিকিৎসক-নার্সদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় কোনো ঘাটতি নেই। ডেঙ্গু রোগী কমছে না, বরং আরো বাড়ছে।
এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেশি। তিনি বলেন, এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নিস্তার মিলবে না ডেঙ্গু রোগ থেকে। তাই সংশ্লিষ্টদের মনোযোগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রীর এ বক্তব্যে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন এডিস মশা কমাতে হবে। মশা না থাকলে তো আর ডেঙ্গু রোগী থাকবে না। সেকারণে তিনি মশা মরার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। বুধবার রাতে এ লেখাটি লেখার সময় পর্যন্ত এ বছর ৬৭১ জন প্রাণ হারিয়েছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে; যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023