Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

রাজধানীর বিকল্প পথগুলোর পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন

Icon

সালাহউদ্দিন নাগরী

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর বিকল্প পথগুলোর পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন

ফাইল ছবি

অনেকেই বলেন, ঢাকা শহরে এখন প্রায় দুই কোটি লোকের বাস। প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষ কাজের জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছেন, দূর-দূরান্তে ছুটে চলেছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার বাস, অসংখ্য মাইক্রোবাস, মিনিবাস, টেম্পো, সিএনজি, পিক-আপ, ট্রাক, মিনিট্রাক, মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, রিকশাভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচলে তৈরি হচ্ছে যানজট। বিগত দুই দশক ধরে এ যানজট বাড়তে বাড়তে এখন জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল এবং যানবাহন চলাচলকে নির্বিঘ্ন রাখার জন্য ফ্লাইওভার, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।

যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিকতা রক্ষার জন্য একটি শহরের আয়তনের ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকা দরকার। ঢাকা শহরে রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৮ শতাংশ। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে, যানজটে নাকাল নগরবাসীর কষ্ট চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে। ‘চীনের দুঃখ হোয়াং হো নদী’, তেমনি ঢাকাবাসীর দুঃখ যেন এ নগরীর যানজট।

ঢাকা শহরে বর্তমানে দুই সিটি করপোরেশন, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং রাজউক নির্মিত ও নির্মাণাধীন ২৬টিসহ মোট ফুটওভার ব্রিজের সংখ্যা একশর উপরে। এছাড়া রয়েছে কয়েকটি আন্ডারপাস। গুলিস্তান আন্ডারপাসে বিভিন্ন দোকানের মালামাল চলাচলের পথের উপর রাখা এবং গাবতলী আন্ডারপাসের ভেতরের ভূতুড়ে পরিবেশের কারণে পথচারীরা সেগুলো ব্যবহারে উৎসাহ পায় না।

ফুটওভার ব্রিজগুলো নির্মাণের জায়গা বা স্থান নির্বাচন নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, বাংলামোটর থেকে শেরাটনের দিকে বিটিসিএলের সামনে, রমনা পার্ক এলাকায়, অফিসার্স ক্লাবের সন্নিকটের রাস্তায়, পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির সামনে, কলাবাগান থেকে শ্যামলী পর্যন্ত (সিনেমা হলের সামনেরটি ছাড়া) সাতটি, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডের একটিসহ উপরোক্ত ফুটওভার ব্রিজগুলো ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে। কিছুদিন আগে একটি পত্রিকার পর্যবেক্ষণ মতে, কর্মব্যস্ত কোনো একদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র তিনজন পথচারীকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাটের কাছের ব্রিজটিতে উঠতে দেখা গেছে। ওই লিংক রোডে বহু বছর আগে নির্মিত আরেকটি ব্রিজ দিয়ে দৈনিক ২০ জন মানুষও পারাপার হয় না। দু-একটি বাদে বাকি কোনো ব্রিজের সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ নেই। অপরিকল্পিতভাবে টানানো ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে একাকার হয়ে বিশ্রি ভিউ দিচ্ছে। যথাযথ পর্যবেক্ষণ ছাড়া নির্মাণের কারণে জোয়ার সাহারা এলাকা, মগবাজার ও মৌচাকের ফুটওভার ব্রিজ উঠিয়ে ফেলতে হয়েছে। সায়েন্স ল্যাব মোড় এবং চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফুটওভার ব্রিজ ভেঙে পড়েছিল আরও কয়েক বছর আগে।

ঢাকার ফুটওভার ব্রিজগুলোর সার্বিক আউটপুট পর্যালোচনার দাবি রাখে। মানুষের রাস্তা পারাপার যেন ঝুঁকিহীন ও নিরাপদ হয় এবং রাস্তায় যানবাহনের চলার পথে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না আসে, সে লক্ষ্য থেকেই ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়। কিন্তু এগুলো নির্মাণের উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না। অনেক পথচারীর মতে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে সময় নষ্ট হয় বেশি, সিঁড়ি খাড়া, ধাপগুলো যথাযথ নয়, ব্রিজের উচ্চতা বেশি তাই শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং যাদের হাঁটু ও কোমরে ব্যথা আছে তারাসহ প্রায় সবাই ঝুঁকি নিয়ে রোড ডিভাইডারের কংক্রিট, কাঁটাতারের ফাঁক গলিয়ে চলন্ত গাড়িকে পাশ কাটিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। আইন অমান্য করার প্রতিযোগিতা দেখে অবাক হতে হয়। আমরা কবে আইনের প্রতি, ট্রাফিক নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবো? অধিকাংশ ফুটওভার ব্রিজ অপরিষ্কার, কফ-থুতু, ছেঁড়া কাপড়, কাগজ, ধুলাবালি-কাদার আস্তর, হকার ফেরিওয়ালার দ্রব্যাদি বিক্রয়কেন্দ্র, ভিক্ষুক, গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষ ও মাদকসেবীদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

কোনো কোনো ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা করেও পথচারীদের আকৃষ্ট করা যায়নি। যথেচ্ছাচার ও এলোপাতাড়ি রাস্তা পারাপারকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, কিছু ফুটওভার ব্রিজ ফুলের গাছ ও চারা দিয়ে সাজানোর পরও নগরবাসীর সাড়া পাওয়া যায়নি। তাহলে রাস্তা পারাপারের উপায় কী?

জেব্রাক্রসিংয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামার পরিশ্রম করতে হয় না। তাই ছেলে, বুড়ো, অসুস্থ প্রতিবন্ধী সবার কাছেই এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে। শুধু ট্রাফিক ব্যবস্থপনার সঙ্গে জড়িতরা কঠোরভাবে বিষয়টি মেইনটেন করতে পারলেই হলো। রাস্তা পারাপারে জেব্রাক্রসিং যে একটা ফলপ্রসূ ব্যবস্থা, আমরা তা ভুলতে বসেছি। শহরের কোনো কোনো রাস্তায় ফিকে হয়ে যাওয়া জেব্রাক্রসিংগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও এর কোনো উপযোগিতা নেই। ১৬-১৭ বছরের একজন তরুণ বা কিশোরের হয়তো এর কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। শহরের রাস্তায় যত জেব্রাক্রসিং দরকার, তা তৈরি করতে হবে। পথচারীকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গাড়ির চালকদের জেব্রাক্রসিং সম্পর্কে বোঝাতে হবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যাপক ব্যবহার ও কার্যকারিতা আছে, আমাদের দেশেও তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

১০ বছর আগেও ঢাকায় যানবাহনের গড় গতি ছিল ২১ কিলোমিটার, এখন সেই গতি নেমে এসেছে ৭ কিলোমিটারে। প্রতিদিন যানজটে আটকা পড়ে ৩.২ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতি প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ শিকেয় উঠেছে।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গত ১৫ বছরে সাতটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু এগুলোর আউটকাম কতটুকু? অনেকেই বলছেন, ফ্লাইওভার নির্মাণ করে রাস্তার যানজটকে আকাশে তোলা হচ্ছে। মগবাজারের যানজট ফ্লাইওভার বেয়ে সোনারগাঁও হোটেলের মোড়, তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়, তিব্বত, নাবিস্কো হয়ে মহাখালী ক্রসিংয়ে গিয়ে ঠেকেছে। ফ্লাইওভারে রিকশা, সাইকেল, লোকাল বাস, ভারী যানবাহন ওঠার অনুমতি নেই; ফলে তাদের ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ফ্লাইওভারে ওঠানামার রাস্তা আগের মতোই যানজটের কবলে স্থবির থাকছে। র‌্যাংগস ভবন ভেঙে ফ্লাইওভার নির্মাণ তো কত বছর হয়ে গেল। অনেকেই ভেবেছিলেন, এ পথে কিছুটা হলেও সময় সাশ্রয় হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখি? তেজগাঁও প্রান্ত দিয়ে এ ফ্লাইওভারে উঠে কখন ওখান থেকে নামা যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিজয় সরণিতে সময়ক্ষেপণে ফ্লাইওভারে ওঠার আনন্দ, প্রয়োজনীয়তা পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রোড, সাইড-রোড নির্মাণ করে ফ্লাইওভার ওঠানামার গাড়ি ম্যানেজ করতে হবে, না হলে এটা কোনো উপকারিতাই বয়ে আনতে পারবে না। যেসব ফ্লাইওভারে একাধিক এনট্রেন্স ও এক্সিট আছে (কুড়িল ফ্লাইওভার ও হাতিরঝিল), সবখানে দিকনির্দেশক ফলক না থাকায় গাড়িচালককে দিকভ্রান্ত হতে হয়। এসব মোড়ে-পয়েন্টে এমনভাবে ফলক লাগাতে হবে, যাতে ওই রাস্তায় কোনো নতুন চালকও অনায়াসে পথ চিনে বের হয়ে আসতে পারেন। কত টাকা লাগে দিকনির্দেশক ফলক বসাতে?

আমরা যে কোনো কিছুর ব্যবস্থাপনায় বড়ই দুর্বল, একটি স্থাপনাকে কীভাবে রক্ষা ও পরিপাটি রাখতে হয়, অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না। ফলে সুন্দর সুন্দর স্থাপনা, যন্ত্রপাতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। এই যে আমাদের ফ্লাইওভারগুলোতে ধুলো-বালি, ময়লা-আবর্জনা জমে সৌন্দর্য নষ্ট করছে, পরিষ্কার রাখার জন্য একমাত্র বর্ষাকালের বৃষ্টির ওপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে।

ঢাকার বিভিন্ন ফ্লাইওভারের নিচে মাছ, মুরগি, শাকসবজির বাজার বসিয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। দুপাশের রাস্তা পেরিয়ে মানুষ ওই বাজারে যাচ্ছেন, দুর্ঘটনা ঘটছে। অপরিকল্পিত বাজারের কারণে পুরো এলাকা সবসময় অপরিচ্ছন্ন থাকছে, সৌন্দর্যহানি ঘটছে। বাজার উঠিয়ে এ জায়গাগুলোকে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফ্লাইওভারের পাশে বসবাসকারীদের বাসাবাড়ির জানালা খুলে রাখার কোনো উপায় নেই। নিচের দুপাশের দোকানপাটগুলোর ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাদের কাছে এসব উপদ্রবে পরিণত হয়েছে। ফ্লাইওভার নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আগে বিষয়গুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে। ঢাকার অধিকাংশ রাস্তারই বেহাল দশা। কোথাও গর্ত, কোথাও আবার কার্পেটিং উঠে গেছে। শহরের কোথাও মসৃণ রাস্তা আছে বলে মনে হয় না। খানাখন্দে ভরা, কাঁচা, আধা পাকা ও দখলীকৃত ফুটপাথযুক্ত রাস্তার এ নগরীতে ফ্লাইওভার কতটুকু রিলিফ দিতে পারছে? তাই আমাদের ভিন্ন চিন্তা করতে হবে। সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমেই যানজট কমাতে হবে।

ঢাকা শহরে ফুটওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার বা এ ধরনের বিকল্পগুলো যখন তৈরি হচ্ছে, তখন পৃথিবীর অনেক দেশে এগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দূর গন্তব্যের জন্য ফ্লাইওভারের কার্যকারিতা আছে, কিন্তু ছোট ফ্লাইওভারের দুপাশে যানজটের কারণে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না, তা বলাই বাহুল্য। উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হতে আমাদের ৮০ হাজার কিলোমিটার সড়ক এবং ৪ হাজার কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গত মে মাসের হিসাবমতে, সারা দেশে বেহাল সড়ক ৫ হাজার কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে, যা মোট সড়ক ও মহাসড়কের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি। কাঁচা, ভাঙাচোরা, রাস্তা মেরামত এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করে রাস্তার সংখ্যা বাড়িয়ে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম কমিয়ে আনতে হবে। শহরের চারদিকে সার্কুলার ওয়াটারওয়ে তৈরির চিন্তা করা যেতে পারে। স্মার্ট নগরী তৈরিতে যাতায়াতের একাধিক মাধ্যমের বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে।

ঢাকা শহরের সার্বিক উন্নয়ন, নগরবাসীর মূল চাহিদাগুলোকে সমন্বয় করার জন্য পুরো নগরীর মাস্টার প্ল্যানকে পর্যালোচনা করতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যেসব কারণে ঢাকা শহরে আসছে, সে ব্যাপারে অনেক গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ আছে। সেগুলো আমলে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকামুখী জনসে াত কমাতে হবে।

যে পাঁচ কাঠা জমিতে আগে একটি পরিবাবের বসবাস ছিল, রিয়েল-স্টেট ডেভেলপারদের বদৌলতে এখন সেখানে ১০০ মানুষ বসবাস করছে। এ নগরীতে আর কত ভবন গড়ে উঠবে? হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের অনুমোদনের লাগাম টেনে ধরতে ট্রাফিক সার্কুলেশনের বিষয়টি আরও শক্তভাবে বিবেচনা করতে হবে। ঢাকার লোকসংখ্যা কমাতে হবে, আয়তন বাড়াতে হবে। নগরমুখী জনসে াতের গতি কমাতে না পারলে ফ্লাইওভার নির্মাণ করেও নিরুপদ্রব যান চলাচলের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। যানজট এড়াতে রাস্তার মোড়গুলো অতিক্রমে নির্মিত ফ্লাইওভার থেকে যথাযথ ফল পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে ও যথাস্থানে নির্মিত না হওয়ায় পথচারীকে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনামাফিক তৈরি না হওয়ায় অনেক ফুটওভার ব্রিজ সরিয়ে ফেলতে হয়েছে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই আশা করছি, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের আগে ভালোভাবে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। প্রতিটি কার্যক্রম থেকে সর্বোচ্চ সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ ও দুর্নীতিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

সালাহ্উদ্দিন নাগরী : কলাম লেখক

snagari2012@gmail.com

ঢাকা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম