তারুণ্যের সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ জমায়েতের টার্গেট বিএনপির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এরই অংশ হিসেবে শেষ সমাবেশ হবে আগামী বুধবার রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে তিন সংগঠন। এ সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর জমায়েত আশা করছেন।
তিন সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করছেন। এর আগে ৬ সাংগঠনিক বিভাগের সেমিনার ও সমাবেশ হয় যথাক্রমে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায়।
সর্বশেষ আয়োজন বসছে রাজধানী ঢাকায়। প্রথমদিন রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার হবে। এতে দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেবেন। বুধবার নয়াপল্টনে হবে তারুণ্যের সমাবেশ।
ঢাকার সেমিনার ও সমাবেশ নিয়ে সোমবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঢাকার সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী যোগ দেবেন বলে আশা রাখছি।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই দিনের কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণদের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তরুণদের দাবি, রাষ্ট্র যাতে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। সে সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন। সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
সেমিনার ও সমাবেশ সফলে মতবিনিময়: এদিকে ঢাকা সেমিনার ও সমাবেশ সফলে সোমবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভা করে ছাত্রদল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তারা উপস্থিত নেতাদের নানা দিক-নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে সুশৃঙ্খলভাবে সমাবেশ সফল করতে বেশ কয়েকটি টিমও করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চলনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং নামজুচ্ছাকিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
