বিএনপি মহাসচিব
শহিদ জিয়ার আদর্শ ও দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস
বাসস
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহিদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন,
শহিদ জিয়ার মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণ,
বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ।
শহিদ রাষ্ট্রপতি
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব
এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনটি মহাসচিব
বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনকারী, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’-এই
কালজয়ী দর্শনের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে
ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বিএনপি মহাসচিব
৩০ মে মহান নেতার শাহাদাত বার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য
দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,
সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সব স্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,
দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র-জনতাসহ সব গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে
গতবছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটায়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে এখন
পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল
বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, পরমতসহিষ্ণুতাসহ সব
নাগরিক অধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে-যাতে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ
লাভ করে। জাতীয় জীবনের সব সংকট, সংগ্রাম ও বিনির্মাণে শহিদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ
বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র
এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব
বলেন, মানুষের মনে ভয় আর আতঙ্ক সৃষ্টি করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে
রেখেছিল। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। নির্যাতন ও জুলুম ছিল পতিত ফ্যাসিবাদের ক্ষমতায়
টিকে থাকার একমাত্র হাতিয়ার। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে এক মাফিয়া অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা
করেছিল পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী।
মির্জা ফখরুল
বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রসহ
নাগরিক স্বাধীনতা। গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক সার্থকতা নিশ্চিত করেন। শুরু করেন উৎপাদনের
রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা
থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেন। ব্যক্তিজীবনেও দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
ও সুবিধাবাদের কাছে আত্মসমর্পণকে তিনি ঘৃণা করতেন। তার অন্তর্গত স্বচ্ছতা তাকে দিয়েছে
এক অনন্য ঈর্ষণীয় উচ্চতা। তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের কারণেই বাংলাদেশে বহুদলীয়
গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয় এবং অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব
বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে
নিতে পারেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশবিরোধী চক্র তার বিরুদ্ধে শুরু করে গভীর ষড়যন্ত্র।
এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে
নির্মমভাবে হত্যা করে।
