‘নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা ২টা না ৩টা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে দেশ ছাড়া হবে, সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না। কিন্তু কায়দা কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী ফেতনা সামনে এনে নির্বাচনটাকে কিভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্লেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কিছু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ মনে করেন তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি এবারে প্রথম ক্ষমতায় যাবে- তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন, তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক মাঝে হোক নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় এখন যে সংকট সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির ওপর আক্রমণ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং তথাকথিত সাজা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে সাজা- এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দ্বৈন্যতা প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিরোধী দলের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে মনে করেছিলেন বিএনপি আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা বিএনপি ছাত্রদলসহ যারা বুকের রক্ত দিয়েছে তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা এখন আহত তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব যেমন সরকার নিয়েছে, বিএনপিও নিয়েছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এই জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা।
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদি, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
