নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে প্রাণ গেল সেই আলাউদ্দিনের
হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ এএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর পাটাততা গ্রামে গ্যাস লিকেজ থেকে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ আলাউদ্দিনের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বুধবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত সপ্তাহে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন—এক নারী ও দু’টি শিশুসহ—হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও তিনজন দগ্ধ হয়ে বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন—নিহত আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫), তার মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও চার বছর বয়সী শিশু শিমলা আক্তার।
ডা. শাওন জানান, জরিনা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ এবং শিশু শিমলার ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থার বিষয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
নিহত আলাউদ্দিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালী শ্রী গ্রামের মো. বাবর মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন এবং পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, দগ্ধ অবস্থায় ভাই আমাকে জানিয়েছিল—ঘরের লাইনে গ্যাস লিকেজ ছিল। ওই গ্যাস জমে ছিল ঘরজুড়ে। ঘটনার রাতে বাথরুমের লাইটের সুইচ অন করতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মা, ভাই এবং আমার দু’ভাতিজি দগ্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা সবাইকে জাতীয় বার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে আমার ভাই মারা যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিনগত রাত ৩টায় সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর পাটাততা গ্রামে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন—নারী ও শিশুসহ—দগ্ধ হন।

-6939f2b2d5b4f.jpg)