Logo
Logo
×

সারাদেশ

জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, অতঃপর...

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম

জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা, অতঃপর...

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।ছবি: যুগান্তর

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খালা শাশুড়িকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ভাগ্নি জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসলে বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে।

অভিযুক্ত ভাগ্নি জামাই মো. আরিফ (২৮) ওই এলাকার ভুট্ট মাঝির ছেলে। পেশায় মৎস্য শিকারি (জেলে)।    

এদিকে ভুক্তভোগীকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে রাতেই থানার ওসি হাসপাতালে এসে ভিকটিমের খোঁজ খবর নিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর আত্মীয় মফিজুর রহমান জানান, ভিকটিমের সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের অজুহাতে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে অভিযুক্ত ভাগ্নি জামাই আরিফ ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সঙ্গে নিয়ে আসা ফ্রুটিকা জুস ভিকটিম ও তার ৬ বছরের শিশুপুত্রকে খেতে দেয়। আপন ভাগ্নি জামাই হিসেবে সরল বিশ্বাসে জুস পান করে ভিকটিম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজন অচেতন হয়ে পড়ে। 

এরপর কি হয়েছে অনুমান নির্ভর ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতেই ভাগ্নিজামাই আরিফ কৌশলে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খালা শাশুড়িকে খাইয়েছে। 

এ সময় ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা এবং লাইট বন্ধ করে দিয়ে প্রায় তিনঘণ্টা রুমে থাকাটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ভিকটিমের ছেলে শরীফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আরিফ তার মায়ের থেকে টাকা পাওয়ার কথা বলে আমাদের ঘরে আসে। সঙ্গে করে দুটি ফ্রুটিকা জুস নিয়ে এসে মা ও ছোট ভাইকে খেতে দেয়। সরল বিশ্বাসে মা এবং ছোট ভাই ওই জুস পান করে। পরে আমরা দুজন দুই দিকে চলে যাই। রাত ১১টার দিকে বাজার থেকে ফিরে এসে অনেক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করার পর দরজা খুললে ভেতর ঢুকে দেখি মা ও ছোট ভাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। আর বখাটে আরিফ খাটের নিচে লুকিয়ে আছে। পরে লোকজন ডাকার ফাঁকে কৌশলে সে পালিয়ে যায়।

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সভাপতি ও ইউপি সদস্য তারেক রহমান রকি যুগান্তরকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ভুক্তভোগীর বাসায় সরেজমিন গিয়ে তিনি দেখেছেন। এ সময় ভুক্তভোগীকে অগোছালো  ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরিবার ও আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠান বলে জানান তিনি। 

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর আমিনুল ইসলাম মঞ্জু জানান, ভুক্তভোগীকে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে জানিয়ে ভর্তি হয়েছে। এক্ষেত্রে দুই ঘণ্টার মধ্যে স্টমাক ওয়াশ করাটা বাধ্যতামূলক। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন তিনি। চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী থানায় এসে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম