সাঁকোতে স্বস্তি ফিরেছে কলমাকান্দার সাত গ্রামে
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদের ডাইয়ারকান্দা এলাকায় সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাতটি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। অবশেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মুখে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের সাঁকোটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর ফলে সাতটি গ্রামের অন্তত চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এখন প্রতিদিন নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংছাতি ইউনিয়নের ডাইয়ারকান্দা, কৃষ্টপুর, বালুচান্দা, শান্তিনগরসহ আশপাশের সাতটি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেতুর অভাবে যাতায়াতে ভোগান্তিতে ছিলেন। সরকারি দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও স্থায়ী সেতুর ব্যবস্থা না হওয়ায় স্থানীয়দেরকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদ পার হতে হতো। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
পরিস্থিতি অবনতির কথা জানানো হলে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দ্রুত সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত হয় সাঁকোটি।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান পাঠান বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা দূর হয়েছে।
বালুচান্দা গ্রামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আগে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকতাম, নদ পার হতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। এখন সাঁকো হওয়ার পর সেই ভয় কেটে গেছে। আমরা কায়সার কামাল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহাদেও নদ পার হয়ে এক গ্রামে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের যাতায়াতের কষ্টের কথা জানায়। এরপর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। এখন সাতটি গ্রামের মানুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন। পাশাপাশি নদীর পাড়ে থাকা শ্মশানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও এ সাঁকোর সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মানবতার কল্যাণে এবং জনহিতকর কাজে আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

-68f47f30682f4.jpg)
-68f4747cd53f3.jpg)