জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
দুর্ঘটনার আশঙ্কা সত্ত্বেও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে জরাজীর্ণ এই ভবনে। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেয়াল ও পিলারে ফাঁটল। কোথাও কোথাও বেরিয়ে এসেছে রড। আস্তরণ খসে পড়ছে। ছাদ থেকে ঝরে পড়ছে বালু, সিমেন্টের গুঁড়ো। বর্ষা মৌসুমে শ্রেণিকক্ষের ভেতরটা স্যাঁতস্যাঁতে। এমনই বেহাল দশা দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলা বিশিষ্ট ভবনের। দুর্ঘটনার আশঙ্কা সত্ত্বেও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে জরাজীর্ণ এই ভবনে।
জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৫০ জন। ১৯৯২ সালে ঐ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। আরও দুটি ভবন থাকলেও কক্ষ সংকটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দোতলা ভবনটিতেও চলে পাঠদান। ‘বিদ্যালয়ের ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানকে পড়তে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউএনওর কাছে একের পর এক দরখাস্ত দিলেও বিদ্যালয়ের ভবনগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩টি ভবন থাকলেও তার মধ্যে ২টি ভবনই অনেক পুরনো। ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস চলাকালে মাঝেমধ্যে ছাদের সিমেন্টের আস্তরণ খসে পড়ে। এতে শরীরে অনেক সময় ধুলোবালি এসে পড়ে। তার পরও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই ভবনেই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাজেম আলী বলেন, ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি এটি সংস্কারের জোর দাবি জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমেদ গোলাপ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভবনটি সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার করা জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ার নূরেন যুগান্তরকে বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি সংস্কার করা জরুরি। সংস্কারের জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে চেষ্টা করব।

-690aef07a8955.jpg)