স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে এক সন্তান জননীর অবস্থান
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে তিনদিন ধরে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অবস্থান করছেন এক সন্তানের জননী। দাবি আদায় না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে হৃদয় বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
তরুণী জানান, সংসার করার জন্য আমি বিয়ে করেছি। সংসার করতে না পারলে এই বাড়িতে আত্মহত্যা করব।
ওই তরুণী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার। অপরদিকে হৃদয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মমিন উল্যার ছেলে।
স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ হান্নান সাংবাদিকদের জানান, এক তরুণী প্রবাসী হৃদয়ের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান করছেন। হৃদয় পরিবারের চাপে বিষয়টি অস্বীকার করছে বলে মনে হচ্ছে। তাবে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তাদের বিয়েও হয়েছিল।
হৃদয়ের বাবা মমিন উল্যা বলেন, প্রেমের সম্পর্ক বা বিয়ের বিষয়টি আমরা আগে জানতাম না। হৃদয়ও আমাদের বলেনি।
হৃদয় হোসেন মোবাইলে বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তবে বিয়ে হয়নি। আগে তার বিয়ে হয়েছে। সেখানে তার সন্তানও আছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। টাকা নেওয়ার ঘটনাটি সত্য নয়।
ওই নারী জানান, আগের স্বামী মাদকসেবী হওয়ায় সংসার করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে হৃদয়ও চাকরি করত। সেখানে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আগের সংসার ও সন্তানের কথাও হৃদয় জানতো। সম্পর্কের ৮ মাস পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। তবে কাবিনামা হয়নি। বিয়ের পর হিরাঝিল এলাকায় তারা ভাড়া বাসায় থাকতো। হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতো। গত ঈদুল আজহার ছুটিতে সে বাড়িতে যায়। তাদের বাড়ি করার সময়ও তিন লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ঈদের পর তাকে না জানিয়ে হৃদয় সৌদি চলে যায়। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।
তিনি বলেন, হৃদয় তার মায়ের কারণে আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তাই গত এক মাস আগে আমি হৃদয়ের গ্রামের বাড়ি আসি। তারা আমাকে অপমান-অপদস্থ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি পুনরায় তার বাড়িতে এসে উঠি। সংসার করার জন্য আমি বিয়ে করেছি। তা না হলে এ বাড়িতে আত্মহত্যা করব।

