বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
নিহত গাজী তাহমিদ খান (২৫)। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গাজী তাহমিদ খান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়৷
নিহত তাহমিদ বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমগীরের ছেলে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের একটি দোকানে পায়ের ওপর পা তুলে বসে ছিলেন হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুবায়ের। এ সময় বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটনকে দেখে পা নামিয়ে না বসায় লিটন জুবায়েরকে লাথি দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে চলে যান।
পরে লিটন ও জুবায়ের নিজ নিজ এলাকা জামালপুর ও হিঙ্গুলীর লোকজন জড়ো করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তাহমিদ, রায়হান, মোহন দে, আবির, মোজম্মেলসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বারইয়ারহাট পৌরসভ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহন দে বলেন, বুধবার বিকালে লিটনের সঙ্গে জুবায়েরের ঝামেলার বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা কয়েকজন মিলে ট্রাফিক মোড়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর কথা বলার এক পর্যায়ে লিটনের জামালপুর এলাকার সবাই আমাদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাহমিদ কখন সেখানে গেছেন বলতে পারি না। তিনি আমাদের এলাকার হওয়ায় তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে তারা।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারইয়ারহাট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহত তাহমিদের বাবা আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে এভাবে মেরে ফেলল? ও তো কোন দোষ করেনি। যদি দোষ করে থাকে তাহলে আমি বিচার করতাম। এভাবে মেরে ফেলতে হবে? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বে বিএনপির একই গ্রুপের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তাহমিদ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ চমেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

