Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিজঘরে মিলল কৃষকের গলাকাটা লাশ

Icon

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম

নিজঘরে মিলল কৃষকের গলাকাটা লাশ

প্রতীকী ছবি।

নেত্রকোনায় শোবার ঘরের বিছানা থেকে হেলাল উদ্দিন (৫৮) নামের এক ব্যক্তির হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতে স্ত্রী বেদনা আক্তারকে (৪০) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের নারিয়াপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত হেলাল উদ্দিন নারিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- হেলাল উদ্দিন প্রায় ২০ বছর আগে বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের বেদেনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে (১৮) ও এক মেয়ে (৩) রয়েছে। ছেলে শরিফ উদ্দিন নানার বাড়িতে থেকে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। গতকাল শনিবার রাতে খাবার খেয়ে হেলাল উদ্দিন শুয়ে পড়েন। টিনের শোবার ঘরটির অন্য বিছানায় বেদনা আক্তার মেয়েকে নিয়ে থাকেন। 

বেদেনা আক্তারের দাবি, রোববার ভোর রাত আনুমানিক সোয়া চারটার দিকে প্রকৃতির ডাকে তিনি টয়লেটে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরে এসে স্বামীর জবাই করা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রস্রাব করে ঘরে এসে দেখি অন্য বিছানাটির বালিশ নিচে পড়া। পরে টচ লাইট জ্বেলে দেখি তার জবাই করা রক্তাক্ত লাশ। এরপর চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয়ে যাই। আর কিছু বলতে পারি না।'

নিহতের ছোট ভাই জালাল উদ্দিন বলেন, 'কে বা কারা, কী কারণে আমার ভাইকে হত্যা করেছে কিছুই বলতে পারছি না। আমরা ৯ ভাই ছিলাম। গত শুক্রবার রাতে বড় ভাই তাজউদ্দিন স্বাভাবিকভাবে মারা যান। এখন আরেক ভাই হেলাল উদ্দিনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে জবাই করে হত্যা করেছে। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল বলে আমাদের জানা নাই। তিনি খুবই সহজ সরল মানুষ ছিলেন। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ঘটনার রহস্য দ্রুত সময়ে উদঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'

অপর ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার বড় তাজ উদ্দিন গতকাল শনিবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। তার দাফন শেষে আমরা একটু দেরিতে ঘুমাতে যাই। আমার বড় ভাই হেলাল উদ্দিনও নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে ভোরে শুনি তাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই সহজ সরল কৃষক ছিলেন। তার কারও সাথে বিবাদ ছিল না। কেন তাকে খুন করা হলো? আমরা এর ঘটনার বিচার চাই।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন সরকার ঘটনাস্থল থেকে বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেদেনা আক্তারকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।'

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ থেকে সিআইডি টিম, পিবিআইসহ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আশা করছি খুব দ্রুত ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম