যশোর-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন
মো. কামাল হোসেন, বেনাপোল
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতীক্ষা, নানা গুঞ্জন, সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর আলোচনা ও তৃণমূল পর্যায়ের চাপ সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত যশোর-১ (শার্শা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নুরুজ্জামান লিটনকে যশোর-১ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির এবং মনোনীত প্রার্থী নিজে।
এর আগে এই আসনে একাধিক নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় হাইকমান্ড তৃণমূলের মতামত, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের ইতিহাস মূল্যায়ন করেই নুরুজ্জামান লিটনের নাম চূড়ান্ত করে।
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু বলেন, লিটন শুধু নেতৃত্ব দেননি, তিনি নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। অনেক সময় ব্যক্তিগত ঝুঁকি নিয়ে তিনি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটাই তাকে আলাদা করেছে। নুরুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম বড় দিক হলো তার সাংগঠনিক দক্ষতা। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে সক্রিয় রাখতে ভূমিকা রেখেছেন।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ও ত্যাগের প্রশ্নে লিটন আপসহীন। সে কারণেই কেন্দ্র তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।
মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই শার্শাজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দলীয় কার্যালয়গুলোতে মিছিল-মিটিং এবং শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। অনেকের বিশ্বাস, ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা হলে এই আসনে বিএনপি বড় ব্যবধানে জয় পাবে।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে নুরুজ্জামান লিটন বলেন, এই মনোনয়ন আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি শার্শার ত্যাগী নেতাকর্মীদের অর্জন। আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে শার্শার মানুষের অধিকার আদায়ে আপসহীন থাকবো।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে বিজয় নিশ্চিত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মফিকুল হাসান তৃপ্তি। প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় নিয়মিত অবস্থান করে সভা-সমাবেশ, নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। তবে তৃণমূলের মতামত, সাংগঠনিক বাস্তবতা এবং সার্বিক রাজনৈতিক বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তৃপ্তির পরিবর্তে নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

