লোকালয়ে মুখপোড়া দলছুট হনুমান
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় লোকালয়ে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় মুখপোড়া এই হনুমানটি দেখা যায়। হনুমানটিকে দেখার জন্য কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, হনুমানটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এ হনুমানটি কীভাবে এবং কোত্থেকে এ এলাকায় এসেছে, তা কেউ জানাতে পারছে না।
হনুমানটি দেখার পর থেকে কৌতূহলী লোকজনের উৎপাত থেকে বাঁচতে হনুমানটি উঁচু গাছে আশ্রয় নিয়েছে। তবে হনুমানটিকে খাওয়ানোর জন্য কেউ কেউ কলা, বিস্কুট ও পাউরুটি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে উপজেলায় কোনো প্রাণী সংরক্ষণ করার বিধান ও ব্যবস্থা নেই। ফলে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।
বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, গাঁওপাড়া এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে একটি মুখপোড়া হনুমান দেখা যাচ্ছে। এ হনুমানকে দেখতে আসা মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছেন। ও এই খাবারও খাচ্ছে। তবে দেখার জন্য মানুষ ভিড় করছেন। এ হনুমানটির বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, মুখপোড়া হনুমান বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণী। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, খেলাধুলা ও বিশ্রামসহ সবকিছু এরা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে।
তবে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে কথা হয়েছে, তারা এ প্রাণীর দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। এ প্রাণী নিজে নিজে আসে, আবার নিজে নিজে চলে যায়। তবে এ প্রাণীকে কেউ যেন অত্যাচার না করে, সে বিষয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লোকালয়ে মুখপোড়া দলছুট হনুমান
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় লোকালয়ে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় মুখপোড়া এই হনুমানটি দেখা যায়। হনুমানটিকে দেখার জন্য কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, হনুমানটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এ হনুমানটি কীভাবে এবং কোত্থেকে এ এলাকায় এসেছে, তা কেউ জানাতে পারছে না।
হনুমানটি দেখার পর থেকে কৌতূহলী লোকজনের উৎপাত থেকে বাঁচতে হনুমানটি উঁচু গাছে আশ্রয় নিয়েছে। তবে হনুমানটিকে খাওয়ানোর জন্য কেউ কেউ কলা, বিস্কুট ও পাউরুটি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে উপজেলায় কোনো প্রাণী সংরক্ষণ করার বিধান ও ব্যবস্থা নেই। ফলে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।
বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, গাঁওপাড়া এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে একটি মুখপোড়া হনুমান দেখা যাচ্ছে। এ হনুমানকে দেখতে আসা মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছেন। ও এই খাবারও খাচ্ছে। তবে দেখার জন্য মানুষ ভিড় করছেন। এ হনুমানটির বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, মুখপোড়া হনুমান বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণী। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, খেলাধুলা ও বিশ্রামসহ সবকিছু এরা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে।
তবে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে কথা হয়েছে, তারা এ প্রাণীর দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। এ প্রাণী নিজে নিজে আসে, আবার নিজে নিজে চলে যায়। তবে এ প্রাণীকে কেউ যেন অত্যাচার না করে, সে বিষয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।