মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের নিহত
দুর্ঘটনা নিয়ে যা বললেন আহত ওমান প্রবাসী বাহার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘ঘুম চোখে নিয়ে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিল চালক রাসেল। বার বার বলা শর্তেও গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়নি সে। এর আগে কুমিল্লায় একবার দুর্ঘটনার মুখে পড়তে গেছিলাম। কিন্তু, সেবার রক্ষা পাই। বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগেই রাসেল ঘুমিয়ে যায়। গাড়িটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেয়,’ কথাগুলো বলছিলেন দুর্ঘটনায় আহত ওমান প্রবাসী বাহর উদ্দিন।
আড়াই বছর পর ওমান থেকে দেশে ফিরছিলেন বাহার। তাকে আনতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে মাইক্রোবাসযোগে হরযত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়হন তারা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানটি রাস্তার পাশের খালে ফেলে দেন চালক। এতে বাহারের পরিবারের সাত সদস্য প্রাণ হারান, এ তালিকায় রয়েছে তিন শিশুও। আর এতেই আনন্দের যাত্রা শোকে পরিণত হয়।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জের জগদিশপুর এলাকায় চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাহারের মা মোরশিদা বেগম (৫৫), তার স্ত্রী কবিতা (২৪),
মেয়ে মিম আক্তার (২), ভাবি লাবনী আক্তার (৩০), নানী ফয়জুন্নেসা (৮০), ভাতিজি রেশমী
আক্তার (৮) এবং লামিয়া (৯)। বাহারসহ আহত হয়
তার বাবা, শ্বশুর, শ্যালক, ভাবী ও চালক।
হতাহত সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় আহত বাহার বলেন, ‘খালে পড়ার পর গাড়ি তাৎক্ষণিক ডুবেনি। ধীরে
ধীরে ডুবছিল। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও তিনি তা করেননি। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বের
হয়ে পালিয়ে যায় রাসেল। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেনি। ’
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে
পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা
পড়ে মারা যান। লাশগুলো তাদের পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


