তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে জামাই-শশুরকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে জামাই ও শ্বশুরকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ আগস্ট) রাতে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— ওই ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামের আলীফ উদ্দিনের
ছেলে আকতারুল ইসলাম (৪২), কুশা ইউনিয়নের রহিমাপুর খাঁন সাহেবপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর
ছেলে মিহানুর রহমান (২৭), সয়ার বালাপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলী ইবাদত হোসেন
(৩০) ও সয়ার ডারারপর গ্রামের জাফর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫)।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, রোববার দুপুরে নিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী দাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করা হয়। একই দিন রাতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়া ইউনিয়নের
বুড়িরহাট বটতলী নামক স্থানে চোর সন্দেহে রুপলাল দাস (৪১) ও প্রদীপ দাসকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সম্পর্কে
তারা জামাই ও চাচা শ্বশুর।
নিহত রুপলাল কুশরা ইউনিয়নের
ঘনিরামপুর মেডিকেল এলাকার বাসিন্দা। আর প্রদীপ রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া ভাটা
গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রুপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে
ঠিক হয় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুরের লালচাদ দাসের সঙ্গে। রোববার হবু কনেকে
আশীর্বাদ করার জন্য জামাইয়ের পক্ষের লোকজন আসার কথা ছিল। এ জন্য শনিবার সন্ধ্যায় ভাস্তি জামাই প্রদীপের ভ্যানে
করে বুড়িরহাট বাজারে যান রুপলাল। বাজার শেষে ফের প্রদীপের ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন
তারা। পথিমধ্যে চোর সন্দেহে তাদের আটকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। এতে ওই দুজনের মৃত্যু
হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা ও এলাকার লোকজন রোববার রাত ৮টার দিকে নিহতের
লাশ নিয়ে বিচারের দাবিতে আধাঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে ইউএনও এবং ওসির বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অবরোধ
তুলে নেয়।

