পণ্য রপ্তানিতে ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:২১ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পণ্য রপ্তানিতে সুবাতাস বইছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ধারাবাহিকভাবে আয় ও প্রবৃদ্ধি দুটোই বাড়ছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে তুলনায় আয় বেশি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ৩৪৩ কেটি ৬৭ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।
এদিকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫৪৩ কোটি ৫০ রাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২৯৫৪ কোটি ৮৯ রাখ ডলার। সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছিল ২২৬৭ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রোববার প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল ও রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। বড় খাতের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৫৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ।
কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
উৎপাদিত পণ্য খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৪২ কোটি ডলার। এ খাতে আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬০ কোটি ২৮ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৬৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১৩ দশিক ২৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্র অর্জন হয়নি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে।
