Logo
Logo
×

ইউরোপ

মলদোভা দখলের পাঁয়তারা করছে ইইউ, দাবি রাশিয়ার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

মলদোভা দখলের পাঁয়তারা করছে ইইউ, দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটো মলদোভা দখলের পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটির দাবি, ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে ন্যাটোর বিশেষ টাস্কফোর্স মোতায়েন করা হবে, যার লক্ষ্য মলদোভার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়াকে ভয় দেখানো।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম তাস এসভিআরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইইউ ও ন্যাটো মলদোভাকে যেকোনো মূল্যে নিজেদের তথাকথিত রুশবিরোধী নীতির সঙ্গে রাখতে চায়। এজন্য দেশটিতে বিদেশি সেনা পাঠানো হবে এবং কার্যত মলদোভা দখল হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

এসভিআর বলছে, দেশটিতে আগামী নির্বাচনের পর (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটি নিয়ন্ত্রণে নিতে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করতেও প্রস্তুত।

গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, আগামী সংসদীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মলদোভার সরকার ফলাফল জাল করবে। এতে জনগণ প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে। এরপর প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দুর অনুরোধে ইউরোপীয় সেনারা দেশটিতে প্রবেশ করবে এবং গণতন্ত্রের নামে আসলে এক ধরনের স্বৈরশাসন চাপিয়ে দেবে।

এসভিআর জানিয়েছে, বর্তমানে ন্যাটো দেশগুলোর সেনারা রোমানিয়ার মলদোভা সীমান্তের কাছে অবস্থান করছে। ওডেসায় পাঠানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সেনাদের প্রথম দল ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।

মলদোভার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইগর দোদনও অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসলে মলদোভাকে ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।

ট্রান্সনিস্ট্রিয়া সংকট

ট্রান্সনিস্ট্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিদনেস্ত্রোভিয়ান মলদোভান রিপাবলিক নামে পরিচিত। এটি মলদোভার ভূখণ্ডের ভেতরে, দনেস্তর নদী আর ইউক্রেন সীমান্তের মাঝামাঝি সরু এলাকায় অবস্থিত।

আন্তর্জাতিকভাবে একে মলদোভার অংশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ১৯৯২ সালের এক স্বল্পকালীন যুদ্ধের পর এটি কার্যত স্বাধীন রাষ্ট্রের মতো পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে নিজস্ব সরকার, সেনা, মুদ্রা ও পাসপোর্ট ব্যবস্থা রয়েছে।

এ অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় এখনো সোভিয়েত আমলের একটি বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার সংরক্ষিত আছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অস্ত্রভাণ্ডার ও অবস্থান অঞ্চলটিকে সম্ভাব্য সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম