ভারতের অপারেশন সিঁদুরে ছিন্নভিন্ন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধানের পরিবার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যরা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছেন বলে স্বীকার করেছেন সংগঠনটির এক শীর্ষ কমান্ডার।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে সংগঠনটির কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরী বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষায় দিল্লি, কাবুল ও কান্দাহারের বিরুদ্ধে লড়েছি। সবকিছু বিসর্জন দেওয়ার পরও ৭ মে বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনী আমাদের মহল্লায় হামলা চালায়, সেদিন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকসহ ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিশোধে এই অভিযান চালানো হয়।
এক রাতের সমন্বিত অভিযানে বাহাওয়ালপুর, কোটলি ও মুরিদকেতে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) ও হিজবুল মুজাহিদিনের নয়টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক হতাহত হয়নি। তবে পাকিস্তান বলছে, অন্তত ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের দ্বাদশ বৃহত্তম শহর বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় জামিয়া মসজিদ সুবহান আল্লাহ বা উসমান-ও-আলি ক্যাম্পাস। ভারতীয় হামলায় সেখানেই নিহত হয়েছেন মাসুদ আজহারের অন্তত ১০ জন স্বজন, যাদের মধ্যে আছেন তার বড় বোন, বোনের স্বামী, ভাগ্নে-ভাগ্নি ও পাঁচ শিশু।
এ ছাড়া নিহত হয়েছেন তার ভগ্নিপতি ও জইশ-ই-মোহাম্মদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ আজহার। তিনি ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বিমান সংস্থা আইসি-৮১৪ ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বলে দাবি ভারতের। বহু বছর ধরে ভারতের ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন তিনি।
পাকিস্তান এখনো সীমান্তপারের সন্ত্রাসে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছেন, তারা মাসুদ আজহারের অবস্থান জানেন না। তবে ভারত জোর দিয়ে বলেছে, অপারেশন সিঁদুর ছিল আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য ছিল কেবল জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করা, পাকিস্তানি সাধারণ মানুষ নয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
