পশ্চিমবঙ্গে ৫০ আসনের বেশি পাবে না বিজেপি, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ৫০ আসনের বেশি পাবে না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনে ১৮৪ আসন, ২০১৬-তে ২১১, ২০২১-এ ২১৫ আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও তৃণমূল বাড়তি আসন পাবে বলে। বিজেপির যদি শক্তি থাকে, ৫০ আসন পার করে দেখাক।
বৃহস্পতিবার কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এক দিনে যা দেখিয়েছেন, তা সিবিআই এক বছরে করতে পারেনি।’ একইসঙ্গে অপরাজিতা বিল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিজেপি–কংগ্রেস–সিপিএমের নীরবতার সমালোচনা করেন।
বিশেষ নির্বাচনী ভোটার তালিকা সংশোধনী (এসআইআর) প্রসঙ্গে অভিষেক অভিযোগ তোলেন, বিজেপি মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আগে সরকারকে মানুষ বেছে নিত, এখন সরকার ভোটার বেছে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ৬৯ লাখ ১০০ দিনের কার্ডহোল্ডারের জন্য লড়েছি। যদি তাদের জন্য লড়তে পারি, তবে ১০ কোটি বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ বলে যারা অপমান করেছে, তাদের জন্যও লড়ব।
বাঙালির পরিচয় নিয়ে তার আবেগঘন বক্তব্যে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, নেতাজি, ক্ষুদিরামের নাম। তার প্রশ্ন, রবীন্দ্রনাথ কী ভাষায় কথা বলতেন? বিদ্যাসাগর না থাকলে আপনারা নাম লিখতে পারতেন?
এনআরসি প্রসঙ্গেও তিনি সরব হন। তার দাবি, এনআরসির নামে বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করা হয়েছে। ভয়ে মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এর হিসাব চাই।
বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বলেন, ২০১১-তে ১৮৪, ২০১৬-তে ২১১, ২০২১-এ ২১৫ আসন পেয়েছি। এবারও তৃণমূল বাড়তি আসন পাবে। বিজেপির যদি শক্তি থাকে, ৫০ আসন পার করে দেখাক।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আসা-যাওয়া করে। কিন্তু রাজ্য সরকার থাকে। গায়ের জোরে এ সব হবে না।
তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়, কিন্তু বড়রা যদি কোনও পার্টির হয়ে ললিপপ খায়, সেটা মানায় না।
বাংলার কৃষক, শ্রমিক ও গরিব মানুষের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ গরিব মানুষ। তাদের চোখের জল মোছাই আমাদের লক্ষ্য।

