Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বাগরাম ঘাঁটি দখলের চেষ্টা করলে কী পরিণতি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

বাগরাম ঘাঁটি দখলের চেষ্টা করলে কী পরিণতি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ঘাঁটিটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তাই এটি তাদের হাতে ফেরত দিতে হবে।

২০২১ সালে তালেবান যোদ্ধারা কাবুল ঘিরে ফেললে মার্কিন সেনারা হঠাৎ করেই বাগরাম ঘাঁটি থেকে সরে যায়। সম্প্রতি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তান যদি এ ঘাঁটি ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে ‘খারাপ কিছু ঘটবে’।

উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান ফরেন পলিসি পত্রিকায় লিখেছেন, ট্রাম্প বারবার বাগরাম নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন এবং এটি তিনি বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ঘাঁটিটি দখল করতে পারে কিংবা ধ্বংস করে দিতে পারে—দুই পরিস্থিতিই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, যা ব্যাপক হতাহতের ঝুঁকি তৈরি করবে এবং বন্দি বিনিময় আলোচনাও ভেস্তে যেতে পারে।

কুগেলম্যানের মতে, তালেবান সরকার কখনো আলোচনার মাধ্যমে বাগরাম ছাড়বে না, এটি তাদের কাছে একেবারে ‘রেড লাইন’। গত রোববার এক বিবৃতিতে তালেবান সরকার জানায়, তারা দেশে কোনো বিদেশি সেনাকে থাকতে দেবে না। তবে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেও বাগরাম নিয়ে আলোচনা হবে না। 

তিনি আরও সতর্ক করেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ঘাঁটিটি দখলের চেষ্টা করে তবে চীন ক্ষুব্ধ হবে এবং এটিকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখবে। কুগেলম্যানের মতে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে এ ঘাঁটি ব্যবহার করে ইসলামিক স্টেট খোরাসান শাখার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে তাদের উচিত অন্যত্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ খুবই সীমিত। তবুও এই স্বল্প যোগাযোগকে মূল্যবান হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এর মাধ্যমেই দুই দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করতে পারে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম