‘বন্ধুকে হত্যার উপায়’ জানতে চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
ওই কিশোরকে আটক করে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত/ফাইল
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক ১৩ বছর বয়সি ছাত্র শ্রেণিকক্ষে স্কুলের কম্পিউটারে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটিতে ‘আমার বন্ধুকে হত্যার উপায়’ জানতে চাইলে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
মার্কিন গণমাধ্যম ডব্লিউএফএলএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে সাউথওয়েস্টার্ন মিডল স্কুলে। স্কুল কম্পিউটার মনিটরিং সিস্টেম ‘গ্যাগল’ ছাত্রটির বার্তা শনাক্ত করে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে।
স্কুলের নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী, সতর্কবার্তাটি ক্যাম্পাস পুলিশ অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। পরে ওই ছাত্রকে শনাক্ত করে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরটি দাবি করে, সে নাকি ‘বন্ধুকে নিয়ে মজা করছিল’। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস বিবেচনায় কর্মকর্তারা বিষয়টিকে হালকাভাবে নেননি।
ভোলুশিয়া কাউন্টি শেরিফ অফিস নিশ্চিত করেছে যে ওই কিশোরকে আটক করে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সতর্ক করে বলেছে, ‘এটি ক্যাম্পাসে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করছি, সন্তানদের সঙ্গে এমন বিষয়ে কথা বলুন যেন তারা একই ভুল না করে।’
এটাই প্রথম নয়
এর আগে গত এপ্রিল মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর আত্মহত্যা করে, অভিযোগ অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি তাকে একঘরে করে ফেলে এবং নিজের মৃত্যুর পরিকল্পনা করতে সাহায্য করেছিল।
পরবর্তীতে তার পরিবার ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের অভিযোগ, চ্যাটবটটি মানব সহায়তার পরামর্শ না দিয়ে কিশোরটির নেতিবাচক চিন্তাকে আরও উৎসাহিত করেছিল।
পরিবার জানায়, ২০২৪ সালের শেষ ভাগে সে মূলত পড়াশোনার জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করে, পাশাপাশি সঙ্গীত, ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিৎসু ও জাপানি কমিকস নিয়ে আলাপ করত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তার কথোপকথনের ধরন বদলে যায়—স্কুল বা শখের বিষয় থেকে তা ধীরে ধীরে হতাশা ও অন্ধকার ভাবনার দিকে মোড় নেয়।
গ্যাগল বিতর্ক
‘গ্যাগল’ নামের মনিটরিং সফটওয়্যারটি যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। এটি অনেক সময় ভুল সংকেত দেয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘নজরদারি পরিবেশ’ তৈরি করছে বলে সমালোচিত।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার স্কুল শিক্ষার্থীদের স্কুল-অ্যাকাউন্ট ও ডিভাইসে লেখা প্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে।
এই ধরনের সফটওয়্যার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কথোপকথন স্ক্যান করে সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত করলেই সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্কবার্তা পাঠায়।

