Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হামাস-ইসরাইল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছয় প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি বন্দি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম

হামাস-ইসরাইল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছয় প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি বন্দি

মারওয়ান বারগুতিকে মে ২০০৪ সালে আদালতে আনা হচ্ছে, যেখানে তাকে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচটি হত্যার দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। (ছবি ক্রেডিট: ডেভিড সিলভারম্যান/রয়টার্স)

মিশরে হামাস ও ইসরাইলের পরোক্ষ আলোচনায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিচ্ছে বন্দি বিনিময় ইস্যু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় আটক ৪৭ জন ইসরাইলিকে ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, যাদের মধ্যে ২৫ জন মৃতদেহও রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল আরাবিয়াহ

তবে হামাস চাচ্ছে, যে কোনো চুক্তিতে অবশ্যই দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলে বন্দি থাকা কিছু প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাদের ফিলিস্তিনি আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

প্রধান ছয় বন্দি

মারওয়ান বারগুতি:

ফাতাহের সিনিয়র নেতা বারগুতি ফিলিস্তিনিদের কাছে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখা হয়। ২০০২ সালে ‘অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ড’-এর সময় আটক হন। বর্তমানে তিনি ৫টি যাবজ্জীবনসহ ৪০ বছর সাজা ভোগ করছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘বারগুতি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসের প্রতীক’ কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

ডানপাশের পোস্টারে লেখা, ‘কারাবন্দি নেতা আবদুল্লাহ বারগুতি, যার সাজা ইতিহাসে সর্বাধিক দীর্ঘ।’ ছবি: বেড়ার ফাঁক দিয়ে তোলা। (রয়টার্স)

আবদুল্লাহ বারগুতি:

‘হামাসের ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে পরিচিত। বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ, ৬৭টি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। তিনি মারওয়ান বারগুতির চাচাতো ভাই। তিনি জেরুজালেমের ২০০১ সালের সাবারো রেস্টুরেন্ট, ২০০২ সালের কফি মোমেন্ট বিস্ফোরণ এবং হিব্রু ইউনিভার্সিটি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত, যা মিলিয়ে ৬৬ জন নিহত হন।


ইব্রাহিম হামেদ

ইসরাইলের মতে, তিনি তাদের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বন্দি’। দ্বিতীয় ইন্তিফাদা  ফাদা চলাকালীন পশ্চিম তীরের হামাসের সামরিক শাখা নেতৃত্ব দেন। ২০০৬ সালে আটক হন। ৪৬ জন ইসরাইলি হত্যার জন্য তিনি ৫৪ বছরের যাবজ্জীবন ভোগ করছেন।

আহমাদ সাদাত

পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন -এর সেক্রেটারি জেনারেল। ২০০৬ সালে আটক হন এবং ৩০ বছরের সাজা পান। ২০০১ সালে ইসরাইলি পর্যটন মন্ত্রী রহাভাম জেভির হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন।

আব্বাস আল-সাইয়্যিদ ও হাসান সালামেহ

আব্বাস আল-সাইয়্যিদ ২০০২ সালের পার্ক হোটেল বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত, যা দ্বিতীয় ইন্তিফাদার অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা। হাসান সালামেহ হামাসের সশস্ত্র শাখার সিনিয়র কমান্ডার, ৪৬টি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন।

দুই দিকের প্রতিক্রিয়া

হামাসের জন্য এই ছয় বন্দির মুক্তি প্রতীকী ও কৌশলগত বিজয়। ইসরাইলের জন্য তারা হলো ‌‘রেড লাইন’, নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।

কায়রোতে চলমান আলোচনার ভাগ্য এই বন্দিদের মুক্তি নির্ধারণ করতে পারে—চুক্তি এগোবে নাকি ইতিহাস ও রাজনীতি-ভিত্তিক প্রতিবন্ধকতায় আবার ব্যর্থ হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম