মোদি–স্টারমার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
মুম্বাইয়ের রাজভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদি ও স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সদ্য স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি আমদানি ব্যয় কমাবে, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক ‘নতুন যুগের সূচনা’ ঘটাবে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের রাজভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যয় কমাবে, তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, এবং উভয় দেশের শিল্প ও ভোক্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বন্ধু স্টারমারের এই সফর আমাদের সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনার প্রতীক। আমরা একসঙ্গে দুই দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ব।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তার প্রথম ভারত সফর। ১২৫ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে তিনি জুলাইয়ে লন্ডনে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এবার ভারত সফরে এসেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত যুক্তরাজ্যের প্রসাধনী ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে। অপরদিকে, ব্রিটেন ভারত থেকে আমদানি করা পোশাক, জুতা ও খাদ্যপণ্যের (যেমন হিমায়িত চিংড়ি) ওপর কর ছাড় দেবে।
দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৫৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে, যা উভয় দেশে ছয় লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান বজায় রাখছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতের জিডিপি যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়। চলতি বছরই দেশটি জাপানকে অতিক্রম করে চতুর্থ স্থানে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্টারমার বলেন, ‘ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্প সত্যিই অনন্য। আমি এখানে যা দেখেছি, তা প্রমাণ করে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। আমরা সেই যাত্রায় ভারতের অংশীদার হতে চাই।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সফর শেষে নতুন বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্ত হবে, যা উভয় দেশের জন্য হাজারো দক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
স্টারমার বলেন, ‘আমার এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেওয়া—যাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হয়।’
এ সময় দুই নেতা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা খাতে অংশীদারিত্ব জোরদারের ঘোষণা দেন। তারা জানান, নয়টি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে নতুন ক্যাম্পাস চালু করবে, যা দুই দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াবে।

