Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে যা জানা গেল

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে যা জানা গেল

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি: বিবিসি

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমতি ও পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বুধবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

 সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়।  

এতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি। এই বিষয়ে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ‘ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র পাকিস্তানি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়। 

পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

আরও পড়ুন- পাকিস্তানে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ইসরাইল

উল্লেখ্য, ভারতীয় বিমানবাহিনী মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।

ভারতের দাবি, তারা নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তাইয়্যেবা নামে দুটি জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি। এই দুই সংগঠনকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। এদের বিরুদ্ধেই ভারত গত মাসে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার দায় চাপিয়েছে, যাতে ২৬ জন নিহত হন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘টার্গেট বাছাই ও হামলার পদ্ধতিতে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’ অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের ছয়টি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে, তবে সেখানে কোনো জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না। 

পাকিস্তানি সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘এই হামলা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়ে দিয়েছি, পাকিস্তান প্রয়োজন অনুযায়ী পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। তবে আমাদের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা কিছু দরকার হবে, তা আমরা করব।’

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত এখনো এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে ভারতীয় কাশ্মীরের চারটি পৃথক সূত্র জানিয়েছে, তিনটি যুদ্ধবিমান পৃথক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তাদের পাইলটদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পাকিস্তান ভারত

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম