‘স্টোন বেবি’ কি
কলোম্বিয়ার এক বৃদ্ধা পেটের কিছু সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার পেটে ‘স্টোন বেবি’ (পাথুরে ভ্রূণ) ধরা পড়ে। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষার বলা হয় ‘লিথোপেডিওন’। খবর আনন্দবাজারের।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কলোম্বিয়ার ওই বৃদ্ধার পেটে পাথুরে ভ্রূণের সম্পর্কে গণমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তার।
চিকিৎসকরা জানান, ওই বৃদ্ধার তলপেটের এক্স-রে করানো হলে তাতে ধরা পড়ে ‘লিথোপেডিওন’ হয়েছে তার। চিকিৎসকদের পরিভাষায় যা অতি বিরল ঘটনা। একে ‘স্টোন বেবি’ও বলেন তারা।
ক্লিভল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস কেস মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক কিম গার্কসি মার্কিন গণমাধ্যম ‘এবিসি নিউজের’ কাছে গার্কসি জানান, ওই বৃদ্ধার পেটে ‘স্টোন বেবি’ ধরা পড়ার আগে সারা বিশ্বে মাত্র ৩০০ বার এমনটা দেখা গেছে। মাত্র ০.০০৫৪ শতাংশের ক্ষেত্রে গর্ভের বাইরে ভ্রূণের জন্ম হয়ে তা পাথরে পরিণত হয় বা ‘লিথোপেডিওন’ ধরা পড়ে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভের বাইরে ভ্রূণের জন্মের পর তা ‘লিথোপেডিওন’-এ পরিণত হওয়ার ঘটনা ১.৫ থেকে ১.৮ শতাংশের মধ্যে ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ভ্রূণের ওপর ক্যালশিয়ামের পরত জমতে থাকে। তাতেই মৃত ভ্রূণটি শক্ত হতে শুরু করে।
৬৮ বছরের এক ফরাসি নারীর দেহে ‘লিথোপেডিওন’-এর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ পায়। ১৫৮২ সালে তার দেহের ময়নাতদন্তে জানা যায়, ২৮ বছর ধরে ‘স্টোন বেবি’ রয়েছে তার তলপেটে।
২০০৯ সালে দক্ষিণ চীনের ৯২ বছরের এক নারীর পেট থেকে ৬০ বছরের একটি মৃত ভ্রূণ অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে চিলির লা বোকা শহরের ৯১ বছরের এক বৃদ্ধার পেটে ‘মৃত ভ্রূণ’ ছিল বলে জানা যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘স্টোন বেবি’ কি
কলোম্বিয়ার এক বৃদ্ধা পেটের কিছু সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার পেটে ‘স্টোন বেবি’ (পাথুরে ভ্রূণ) ধরা পড়ে। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষার বলা হয় ‘লিথোপেডিওন’। খবর আনন্দবাজারের।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কলোম্বিয়ার ওই বৃদ্ধার পেটে পাথুরে ভ্রূণের সম্পর্কে গণমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তার।
চিকিৎসকরা জানান, ওই বৃদ্ধার তলপেটের এক্স-রে করানো হলে তাতে ধরা পড়ে ‘লিথোপেডিওন’ হয়েছে তার। চিকিৎসকদের পরিভাষায় যা অতি বিরল ঘটনা। একে ‘স্টোন বেবি’ও বলেন তারা।
ক্লিভল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস কেস মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক কিম গার্কসি মার্কিন গণমাধ্যম ‘এবিসি নিউজের’ কাছে গার্কসি জানান, ওই বৃদ্ধার পেটে ‘স্টোন বেবি’ ধরা পড়ার আগে সারা বিশ্বে মাত্র ৩০০ বার এমনটা দেখা গেছে। মাত্র ০.০০৫৪ শতাংশের ক্ষেত্রে গর্ভের বাইরে ভ্রূণের জন্ম হয়ে তা পাথরে পরিণত হয় বা ‘লিথোপেডিওন’ ধরা পড়ে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভের বাইরে ভ্রূণের জন্মের পর তা ‘লিথোপেডিওন’-এ পরিণত হওয়ার ঘটনা ১.৫ থেকে ১.৮ শতাংশের মধ্যে ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ভ্রূণের ওপর ক্যালশিয়ামের পরত জমতে থাকে। তাতেই মৃত ভ্রূণটি শক্ত হতে শুরু করে।
৬৮ বছরের এক ফরাসি নারীর দেহে ‘লিথোপেডিওন’-এর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ পায়। ১৫৮২ সালে তার দেহের ময়নাতদন্তে জানা যায়, ২৮ বছর ধরে ‘স্টোন বেবি’ রয়েছে তার তলপেটে।
২০০৯ সালে দক্ষিণ চীনের ৯২ বছরের এক নারীর পেট থেকে ৬০ বছরের একটি মৃত ভ্রূণ অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে চিলির লা বোকা শহরের ৯১ বছরের এক বৃদ্ধার পেটে ‘মৃত ভ্রূণ’ ছিল বলে জানা যায়।