জুমার দিনে দরুদ পাঠে মিলে যেসব ফজিলত
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুমার দিন শুধু সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনই নয়, এটি রহমত ও বরকতের বিশেষ উপহার। এই পবিত্র দিনে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি দরুদ পাঠ মুমিন মুসলমানের ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের এক অনন্য সুযোগ। জুমার দিনের দরুদের আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার বিশেষ তাগিদ এসেছে।
জুমার দিনের দরুদের আমল
১. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ
‘তোমাদের সাপ্তাহিক দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। সেই দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ ১০৪৭, নাসাঈ ১৩৭৪, ইবনু মাজাহ ১০৮৫)
২. উত্তম দরুদ
সবচেয়ে উত্তম দরুদ হলো দরুদে ইবরাহিম—
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সা.) ও তার পরিবারবর্গের ওপর দয়া করুন, যেমন তুমি ইবরাহিম (আ.) ও তার পরিবারবর্গের ওপর দয়া করেছো। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সা.) ও তার পরিবারবর্গের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমন তুমি ইবরাহিম (আ.) ও তার পরিবারবর্গের ওপর বরকত নাজিল করেছো। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
সংক্ষিপ্তভাবে চাইলে—
صَلَّى اللَّهُ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ
উচ্চারণ: ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’
অর্থ: ‘আল্লাহ মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।’
৩. সময়
বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত দরুদ পাঠ করা উত্তম।
৪. ফজিলত
> গুনাহ মাফ হয়
> দরুদ পাঠকারীর ওপর আল্লাহর রহমত নাজিল হয়
> দোয়া কবুলের আশা বৃদ্ধি পায়
> হৃদয়ে প্রশান্তি আসে
পরামর্শ: জুমার দিন নামাজের আগে–পরে, খুতবার আগ মুহূর্তে এবং আসরের পর বেশি করে দরুদ পাঠ করা উত্তম।
জুমার দিনের মুহূর্তগুলো যেন দরুদে ভরে ওঠে। অল্প আমল, কিন্তু গভীর ভালোবাসা— এই দরুদই হতে পারে আমাদের গুনাহ মাফের কারণ ও অন্তরের প্রশান্তির পথ।
