Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া সিলসিলার ইতিহাস

Icon

মুহাম্মাদ রবিউল হক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২০, ০৩:০১ পিএম

ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া সিলসিলার ইতিহাস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া সিলসিলার দাওয়াত-তাবলিগ, তাযকিয়া-তরবিয়াত, সংস্কার ও বিপ্লবের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। 

মুজাদ্দিদিয়া,মা’সুমিয়্যা, আহসানিয়া ও মুহাম্মাদিয়া নামে এই সিলসিলার বৈশিষ্ট্যময় স্বতন্ত্র শাখাগুলোর খেদমত ইতিহাসে ভাস্বর হয়ে রয়েছে।

হিজরি দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শুরুতে মুসলিম বিশ্বের অনেক অঞ্চলে বিশেষ করে ইরান ও ভারতবর্ষে এই শ্লোগান উচ্চারিত হচ্ছিল, ‘নতুন যুগ নতুন আইন, নতুন সহস্রাব্দ ও নতুন নেতৃত্ব’ এবং পরে ‘দ্বীনে ইলাহী’ নামে ধর্মের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। 

ঠিক তখনই সরহিন্দের দিক থেকে একজন ঘোষকের আওয়াজ শোনা যায়, ‘পথ পরিষ্কার করুন,পথিক আসছেন...।’

নকশবন্দিয়া সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দী (র.)। নকশবন্দিয়া সিলসিলা ভারতবর্ষে দুটি মাধ্যমে আগমন করে; আমীর আব্দুল্লাহ  ‘আলা আকবরাবাদী (র.) যিনি আপন পিতৃব্য আব্দুল্লাহ আহরারির থেকে নকশবন্দিয়া তরিকায় এজাজত ও খিলাফত লাভ করেছিলেন। 

এই তরিকায় নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া পরস্পরের সঙ্গে জড়িত ও সম্পর্কিত। ভারতের দানাপুর,মারহারা প্রভৃতি জায়গায় আবুল আলাঈ সিলসিলা তার দ্বারা চালু রয়েছে।

অন্য মাধ্যমে শায়খ আব্দুল বাকী নকশবন্দী দেহলবি যিনি খাজা বাকী বিল্লাহ্ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহতায়ালার খোঁজে ‘মা- ওয়ারাউন- নাহার’ এর অনেক শায়খদের মজলিসে হাজিরা দিতে থাকেন এবং বায়াত হোন। 

পরবর্তীতে স্বপ্নযোগে খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দীর জিয়ারত লাভ করেন এবং নকশবন্দিয়া তরিকার অন্যতম বুজুর্গ কাশ্মীরের বাবা কুবরাবীর খেদমতে পৌছেন এবং উপকৃত হোন। 

তার ইন্তিকালের পর খাজা উবায়দুল্লাহ আহরারের (র.) সঙ্গে রুহানি সম্পর্ক তৈরী করেন এবং তালিম ও তরবিয়ত নিয়ে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হোন। তার রচনাবলির মধ্যে ‘সিলসিলাতুল আহরার’ উল্লেখযোগ্য। 

শায়খ বাকী বিল্লাহর (র.) খলিফাদের মধ্যে মুজাদ্দিয়া তরিকার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমদ সরহিন্দ মুজাদ্দিদ আলফে ছানী (র.), শায়খ হুসসামুদ্দীন ইবন নিজামুদ্দীন বাদাখশী (র.),শায়খ ইলাহদাদ দেহলবি (র.) ও মুহাদ্দিস আব্দুল হক দেহলবি প্রমূখ উল্লেখযোগ্য।

মুজাদ্দিদিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমদ সরহিন্দ (র.) ছিলেন ফারুকী বংশের। তার পিতা মখদূম শায়খ আব্দুল আহাদ (র.) ছিলেন চিশতিয়া সিলসিলার অন্যতম বুজুর্গ শায়খ আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহি ও শায়খ রুকনুদ্দীন (র.) থেকে খেলাফত প্রাপ্ত। 

হযরত মুজাদ্দিদ আলফে ছানী র. পিতার অধিনে চিশতিয়া কাদিরিয়া তরিকার সূলুকের মনযিল অতিক্রম করেন। অত:পর তিনি নকশবন্দিয়া তরিকার মহান রাহবার খাজা বাকী বিল্লাহ্ র. এর খেদমতে হাজির হয়ে বায়'আত হোন এবং এজাজত লাভে ধন্য হোন।

হজরত মুজাদ্দিদ (র.) এ ক্ষেত্রে কামালিয়াত এবং ইমামতের দরজায় পৌছে যান যে, খাজা বাকী বিল্লাহ মুরিদদেরকে তার অবর্তমানে মুজাদ্দিদ (র.) এর সাথে সম্পর্ক রাখতে আদেশ করেন।  তিনি তার দুই দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্র খাজা উবায়দুল্লাহ্ ও খাজা আব্দুল্লাহকে হজরত মুজাদ্দিদের দ্বারা ‘তাওয়াজ্জুহ’ প্রদান করান। 

কবি বলেন, ‘আত্মসচেতন এক পুরুষ পৃথিবী পাল্টে দিলো, পাল্টে দিলো পৃথিবীর পরিবেশ।’

হজরত মুজাদ্দিদ (র.) এর সবচেয়ে বড় অবদান তিনি সরহিন্দের নিভৃত খানকায় বসে হিজরী দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সবচেয়ে বড় ফিতনা ‘দ্বীনে ইলাহী’ যা মুহাম্মাদী দ্বীনকে বিকৃত সাধন করেছিলো,তা থেকে ইসলামকে রক্ষা করেন। 

এ জন্য তিনি ইতিহাসে ‘মুজাদ্দিদে আলফে ছানী’ বা ‘হিজরী দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সংস্কারক’ হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন। 

দ্বীনে ইলাহির ইরতিদাদের ফিতনা থেকে  ইসলামকে রক্ষা করতে তিনি কী কী কর্মপন্থা গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য স্বতন্ত্র নিবন্ধের প্রয়োজন।

মুজাদ্দিদ (র.) এর রচনাবলীর মধ্যে তার ‘মাকতুবাত’ সংকলন অন্যতম। যার দর্শন, সাহিত্যমান নিয়ে বহু গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রয়েছে। বাগদাদের প্রখ্যাত আলিম আল্লামা মাহমুদ আলুসি (র.) তার বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ ‘রুহুল মা'আনী’তে মুজাদ্দিদ (র.) এর মাকতুবাত থেকে রেফারেন্স গ্রহণ করেছেন। 

শায়খ মুহাম্মাদ মুরাদ মক্কী মুজাদ্দিদ (র.) এর দাওয়াত,তরবিয়াত ও সংস্কারের উপর ‘যায়লুর রাশাহাত’ নামে একটি অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করেন।

মুজাদ্দিদ (র.) এর খলিফদের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ইতিহাসে উল্লেখ নেই। তবে তিনি উপমহাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে খলিফাগণের প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। 

তবে তার অন্যতম দুজন খলিফা যাদের মাধ্যমে মুজাদ্দিদিয়া, নকশবন্দিয়া সিলসিলার প্রসিদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতবর্ষে সূলুক, তরবিয়াত দ্বারা জনসাধারণের ঈমান-আকিদা পরিশুদ্ধ করেছেন তারা হলেন; খাজা মাসুম (র.)। যিনি মুজাদ্দিদ (র.) এর সাহেবজাদা ও ‘মাসুমিয়্যা’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সাইয়্যেদ আদম বানুরী (র.) যিনি ‘আহসানিয়া’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা।

খাজা মাসুম ইবন আহম ইবন আব্দুল আহাদ আল-উমারী নিজ পিতা মুজাদ্দিদ শায়খ আহমদ সরহিন্দ র. এর থেকে সূলুকের উচ্চ মাকাম অতিক্রম করেন যে, পিতা তাকে ‘কাইয়ূমিয়াত’ প্রভৃতির মতো মর্তবার সুসংবাদ প্রদান করেন। পিতার ইন্তিকালের পর তিনি তার আসনে সমাসীন হোন। 

কথিত আছে, নয় লক্ষ মানুষ তার হাতে বায়াত হোন। তারমধ্যে মুঘোল সাহজাদা (পরবর্তীতে সম্রাট) আওরঙ্গজেব অন্যতম। তার খলিফাদের সংখ্যা ছিলো সাত হাজার, তন্মধ্যে চার হাজার কামালিয়াত অর্জন করে ইজাজত প্রাপ্য ছিলেন। 

যারা ভারতবর্ষ ছাড়াও আরব, আজম, খুরাসান, রুম এবং মা- ওয়ারাউন- নাহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিলেন। শায়খ মাসুম কর্তৃক লিখিত মাকতুবাত(পত্রাবলি) তিন খন্ডে সংকলিত।

খাজা মাসুম নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তার দ্বিতীয় পুত্র খাজা মুহাম্মাদ নকশবন্দি র. কে মনোনীত করেন। পিতার ইন্তিকালের পর তিনি হেদায়েত ও তরবিয়াতের কাজে নিমগ্ন হয়ে পড়েন। তার খলিফাদের মধ্যে ছিলেন খাজা মুহাম্মাদ যুবায়ের ইবন আবিল আলা ইবন খাজা মাসুম। 

খাজা যুবায়েরের খলিফাদের মধ্যে তিন জন প্রসিদ্ধি পান। তারা হলেন, শাহ যিয়াউল্লাহ্ র. যার খলিফাদের মধ্যে শাহ মুহাম্মাদ আফাক অন্যতম।

খাজা মুহাম্মাদ নাসির আন্দালিব যার পুত্র খাজা মীর দর্দ দেহলবি। খাজা আব্দুল আদল যার খলিফা হলেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবির পুত্র, কোরআনুল কারিমের ফারসি অনুবাদক শাহ আব্দুল কাদির দেহলবি (র.)। 

শাহ মুহাম্মাদ আফাক র. এর খলিফাদের মধ্যে মাওলানা ফযলে রহমান গঞ্জে মুরাদাবাদি (র.) প্রসিদ্ধ।  যার যুহদ,তাকওয়া, শরিয়ত ও সুন্নাহর অনুসরণের কারণে তাকে সে যুগের ‘ওয়ায়েস আল কারনি’ বলা হতো। 

মুজাদ্দিদিয়া মাসুমিয়্যা সিলসিলার বুজুর্গদের মধ্যে খাজা সায়ফুদ্দীন সরহিন্দী যিনি আপন পিতা খাজা মাসুমের নির্দেশে দিল্লীতে খানকা স্থাপন করেন এবং তরবিয়াতের ধারা অব্যাহত রাখেন। 

এই খানকায় বড় বড় শায়খ সূলুকের পথ প্রাপ্ত হোন তার মধ্যে বাদশাহ মুহিউদ্দীন আওরঙ্গজেব অন্যতম। খাজা সাইফুদ্দীনের পর সাইয়্যেদ নুর মুহাম্মাদ বাদায়ূনি র. তার স্থলাভিষিক্ত হোন। 

তার ইন্তিকালের পর মির্যা মাজহার জানে জানাঁ (র.) স্থলাভিষিক্ত হোন এবং প্রায় পয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত রাজধানী দিল্লীতে প্রেমের বাজার উত্তপ্ত রাখেন। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি র. ‘কলেমাতে তায়্যিবা’ গ্রন্থে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

মুজাদ্দিদিয়া তরিকার বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রসার  শাহ গুলাম আলী বাটালভীর মাধ্যমে পায়। ভারতবর্ষের এমন কোন শহর ছিলো না যেখানে তার মুরিদ ছিলো না। কেবল আম্বালা শহরে তার পঞ্চাশ জন খলিফা ছিলো। 

তার স্থলাভিষিক্ত হোন শাহ আহমদ সাঈদ ইবন শাহ আবু সাঈদ র.। তার খলিফাদের মধ্যে মাওলানা সাইয়্যিদ আব্দুস সালাম ওয়াসেতি হাসুভী র. এবং মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল গনী র. প্রসিদ্ধ। 

শাহ আব্দুল গনী র. ইলমে হাদিস, সূলুক ও তাসাউফকে এমনভাবে একত্র করেন যার নজির শাহ আব্দুল আযীয দেহলবিকে (র.) বাদ দিলে আর কোথাও পাওয়া যায় না। 

বাতেনি ইলমের পাশাপাশি তিনি ‘উস্তাযুল হিন্দ’ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন যার দরসে মাওলানা কাসিম নানুতবী, মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহি র. মতো বিখ্যাত আলিম উপস্থিত থাকতেন। যাদের হাতে দারুল উলুম দেওবন্দ, মাজাহিরুল উলুমের মতো জগৎ বিখ্যাত হাদিস চর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। 

১৮৫৭ সালের (সিপাহি) বিপ্লবের পর তিনি মদীনা মুনাওয়ারা হিজরত করেন এবং কানযুল উম্মালের লেখক শায়খ আলী মুত্তাকী র. এর সুন্নত জীবিত করে ‘হারামাইন শরীফাঈন’ এ হাদিসের দরস দিতে থাকেন। 

মুজাদ্দিদ আলফ ছানীর বিশিষ্ট খলিফা, ‘আহসানিয়া মুজাদ্দিদিয়া’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ সাইয়্যেদ আদম হুসাইনী বানুরী র. যিনি হুসাইন রা. এর বংশের ছিলেন। তিনি মুলতানে মুজাদ্দিদ সাহেবের মুরিদ হাজী খিজির রূগানী র. থেকে আধ্যাত্মিকতার সবক গ্রহণ করেন এবং দু'মাস পর তার হুকুমে মুজাদ্দিদ সাহেবের খেদমতে হাজির হোন। 

হাফিয সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ আকবরাবাদী র. এর মাধ্যমে আহসানিয়া মুজাদ্দিদিয়া সিলসিলার সর্বাধিক প্রচার ও প্রসার ঘটে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবির পিতা শাহ আব্দুর রহীম ফারুকী র. তার খলিফা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। যিনি ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া (ফতোয়ায়ে আলমগীরী নামে প্রসিদ্ধ) রচনা কমিটির অন্যতম সদস্য  ছিলেন। 

এই সিলসিলা থেকেই হুজ্জাতুল ইসলাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি র.,শাহ আব্দুল আযীয র. এবং তার থেকে সাইয়্যিদ আহমদ শহিদে বালাকোট ও মিঞা নূর মুহাম্মাদ ঝিনঝিনাভী র. খেলাফত প্রাপ্ত হোন।

মিঞা নূর মুহাম্মাদ ঝিনঝিনাভী থেকে শায়খুল আরব ওয়াল আজম হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি র. এবং তার খলিফা মাওলানা কাসিম নানুতবী র.(দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা), মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহি র.,হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি র.,শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দি র., শাহ আব্দুর রহীম রায়পুরী র.,মাওলানা ইয়াহইয়া কান্ধলবি র.,মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরি র.(বযলুল মাজহুদ প্রণেতা),সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী র.,মাওলানা আব্দুল কাদির রায়পুরী র.,মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবি (তাবলিগ জামা'আতের প্রতিষ্ঠাতা),শায়খুল হাদিস যাকারিয়া কান্ধলবি র.,এবং সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী র. প্রমূখ উল্লেখযোগ্য। 

তারা প্রত্যেকেই মুজাদ্দিদিয়া আহসানিয়া সিলসিলার থেকে খেলাফত ও অনুমতিপ্রাপ্ত  ছিলেন।

সায়্যিদ আহমদ শহীদ র. ‘তরিকায়ে মুহাম্মাদিয়া’ নামে ভিন্ন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। রুহানি তরবিয়াতের মাধ্যমে তৈরী জামাত নিয়ে তিনি বালাকোটের ময়দানে শহীদ হোন। যাদের মধ্যে শাহ ইসমাইল শহীদ র.,মাওলানা আব্দুল হাই বুরহানবী র. বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার রচিত 'সিরাতুল মুস্তাকিম' একটি অনবদ্য গ্রন্থ।

 তার খলিফাদের মধ্যে কারামত আলী জৈনপুরী র. এবং সূফী নুর মুহাম্মাদ নিজামপুরী বাঙালি অন্যতম। 

সূফী নুর মুহাম্মাদ র. এর  খলিফা ছিলেন ফতেহ আলী ওয়ায়সি তার খলিফা আবু বকর সিদ্দিকী র.(ফুরফুরার পীর), তার খলিফা শাহ নেসার উদ্দীন র.ও শাহ আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ র. (ছারছিনার পীর) তাযকিয়া ও তরবিয়াতের ধারা অব্যাহত রেখে গেছেন।
 

নকশবন্দিয়া

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম