বিশ্বমানের হাফেজ গড়ার কারিগর কারি মাহমুদুল হাসান
মুহাম্মদুল্লাহ
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ১০:০৯ পিএম
পবিত্র কুরআনকে আল্লাহ তায়ালা অশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন যারা এই গ্রন্থের ধারক-বাহকদেরও।
বিশ্বজুড়ে পবিত্র কুরআনের বাংলাদেশি হাফেজদের আলাদা সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকাকে এসব হাফেজ বিশ্ব দরবারে সমুন্নত ও সম্মানিত করছেন। তাদের মধ্যে কারি মাহমুদুল হাসান অন্যতম।
তিনি নিজে আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ তৈরিতেও কাজ করছেন।
আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ গড়ার উদ্দেশে হাফেজ কারি নাজমুল হাসান ও হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসানসহ কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসা।
এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি বিশ্ব মানের হাফেজ তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে ওসামা বিন নজরুল। কাতারে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কিরাত প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করেন এই হাফেজ। হাফেজ আবিদ হাসান আরটিভি আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান অর্জন করেন। এ ছাড়াও আরও অসংখ্য বিশ্বমানের হাফেজ গড়েছেন কারি মাহমুদুল হাসান।
কারি মাহমুদুল হাসান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ২০০৯ সালে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের জন্য স্বর্ণপদক পুরস্কার জেতেন।
এ ছাড়াও দীর্ঘ ১২বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত কুরআনে তেলাওয়াত করেন তিনি। সেসব তেলাওয়াতের ছোট ছোট অডিও-ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়।
হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসানের বাড়ি রাজশাহী শহরে। তার বাবা হাফেজ কারি মোহাম্মদ শরিফ। মাহমুদুল হাসান নূরানী কায়েদা থেকে পবিত্র কুরআনের হিফজ পর্যন্ত পুরোটাই সম্পন্ন করেছেন বাবার কাছে। পরিবারে তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান সবার বড়।
কারি মাহমুদুল হাসান ২০১২ সালে রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সাহাবা মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। এরপর আন্তর্জাতিকমানের হাফেজ গড়ার উদ্দেশে হাফেজ কারি নাজমুল হাসান ও হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসানসহ কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসা।
তিনি বাংলাদেশ হিফজ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রশিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে কাতার ও ওমানে, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ও ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত হন।
হাফেজ কারি মাহমুদুল হাসান বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি পবিত্র কুরআনের খেদমত করে যেতে চাই।
তিনি বলেন, শতাধিক দেশের মেধাবী হাফেজদের পরাজিত করে বাংলাদেশি হাফেজরা পুরস্কার জেতেন। এতে বাংলাদেশের সুনাম হয়। অন্য দেশের কাছে এ দেশের গুরুত্বও সম্মান বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে এ কাজ আরো বেগবান হতে পারে।