বিয়ের আগে পাত্রের সামনে যাওয়া যাবে?
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিয়ের আগে পাত্রী দেখে নেওয়া সুন্নত। হাদিসে এসেছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন সম্ভব হলে তার এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যেন দেখে নেয়, যা তাকে বিয়েতে আগ্রহী করে তোলে।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা অন্তরে গোপন রেখেছিলাম। এরপর আমি গোপনে তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখি, যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী করে তুলল। এরপর আমি তাকে বিয়ে করি।’ (আবু দাউদ: ২০৮২)
অন্য হাদিসে এসেছে, মুগিরা বিন শোবা (রা.) বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ?’ আমি বললাম, ‘না, দেখিনি।’ তখন তিনি বললেন, ‘তাকে দেখে নাও।’ তোমার এই দর্শন তোমাদের দাম্পত্য জীবনে প্রণয়-ভালোবাসা গভীর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’ (তিরমিজি: ১০৮৭)
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের আগে পাত্রীকে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই শর্ত সাপেক্ষে দেখতে পারবে।
সেই শর্তগুলো হলো—এক. পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পক্ষের কোনো পুরুষ, যেমন—বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ থাকতে পারবে না। তাদের পাত্রী দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ।
দুই. পাত্র-পাত্রী একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। কিন্তু একে অন্যকে স্পর্শ করতে পারবে না।
খবরাখবর নেওয়ার পর বিয়ে করতে মনস্থির করলে পাত্রীকে দেখে নেওয়া উচিত। ওপরে উল্লিখিত হাদিসের ভাষ্য থেকে বোঝা যায়, পাত্রীকে লুকিয়ে দেখে নেওয়াই উত্তম। ফকিহরা আনুষ্ঠানিকভাবে দেখাকে নিরুৎসাহিত করেছেন।
তবে দেখলেও পাত্রীর হাত ও মুখ দেখা যেতে পারে। কাপড়ের ওপর দিয়ে যদি শরীরের সামগ্রিক অবয়ব দেখে নেওয়া হয়, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর হ্যাঁ, শুধু বিয়ে করার উদ্দেশ্যেই কনে দেখতে পারবে। এ ছাড়া নয়।’ (হিদায়া: ৪ / ৪৪৩; আলমুগনি: ৭ / ৭৪)
পাত্রের পরিবারের অন্য পুরুষ সদস্যদের জন্য পাত্রী দেখা বৈধ নয়। তবে পাত্রের পরিবারের নারীরা চাইলে পাত্রীকে ভালোভাবে যাচাই করে নিতে পারে।
