|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি মক্কা এবং মদিনা উভয় স্থানেই মুসাফির হিসেবে থাকলে ফরজের সঙ্গে কি সুন্নত এবং নফল নামাজও পড়তে হবে?
উত্তর: হারামাইন শরিফাইনে আমাদের সফরগুলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সেখানে শুধু ফরজ নামায পড়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা কীভাবে সমীচীন হবে? যেহেতু সেখানে থাকা, খাওয়া, ব্যস্ততা সবকিছুই ইবাদতের জন্যই হয়ে থাকে। যত বেশি ইবাদত করা যায় ততই ভালো।
রাসূলুল্লাহ সা. বিভিন্ন সফরে সুন্নত ও নফল পড়েছেন বলে হাদিসে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। সুতরাং এই সফরে ফরজের আগে বা পরের সুন্নতে মুআক্কাদাহ, দিন রাতের নফল জিকির-আজকার, তিলাওয়াত, সদাকাহ সবগুলো ইবাদত বেশি বেশি করার চেষ্টা করা উচিত।
তাই একান্ত সমস্যা না থাকলে সুন্নত এবং নফল নামাজও আদায় করা উচিত। বরং আগের চেয়ে বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করা দরকার।
হজের জন্য ইহরামের নিয়ত করার মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় দোয়া কবুলের এক বিশেষ সুযোগ। পবিত্র মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর রহমত এবং মাগফিরাত লাভের জন্য দোয়া করা যায় এবং এখানে বিশেষ কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
অনেক স্থানেই নবি-রাসূলদের দোয়া কবুল হওয়ার ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে, আর সেই স্থানগুলোতে দোয়া করার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র স্থানগুলোয় মনোযোগসহ এবং দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করার গুরুত্ব অনেক।
আল-বাহরুর রায়েক: ২/১৪১
