আরাফার দিনের আমলে ২ বছরের গুনাহ মাফ হয়
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইয়াওমে আরাফা মানে আরাফার দিন। আল্লাহর রহমত ও অসীম দয়ায় সিক্ত হওয়ার দিন। পাপ মোচন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুবর্ণ সময়।
৯ জিলহজ আরাফার দিন। যে অঞ্চলে যেদিন ৯ জিলহজ সেখানে সেদিন ইয়াওমে আরাফা। এ দিনের আমল অনন্য প্রতিদান ও মর্যাদার।
আরাফার দিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল রোজা।
আরাফার একদিনের রোজায় মাফ হয় দুই বছরের পাপ। সৃষ্টি হয় দোজখের দহন থেকে মুক্তির সম্ভাবনা। নবীজি আরাফার রোজার সুসংবাদ জানিয়েছেন।
তিনি ইরশাদ করেন, আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি এই দিনের রোজার বদৌলতে আগের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১১৬২)
তাই এই দিন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখা দরকার।
বাংলাদেশে ইয়াওমে আরাফা ৬ জুন শুক্রবার। বৃহস্পতিবার রাতে সেহরি খেয়ে পরের দিন রোজা রাখতে হবে। সেহরির সময় ৩টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।
শুধু আরাফা নয় বরং জিলহজের প্রথম দশ দিন অনন্য মর্যাদার। নবীজি জীবনে একবারও এ দশকের আমল ছাড়েননি।
হযরত হাফসা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবীজি কখনো চারটি আমল ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতিমাসের তিন দিনের রোজা এবং ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪১৫)
জিলহজের এই দশক বর্ষ সেরা দশক। অনেকেই জিলহজের শুরু থেকে বিশেষ আমলে মনোযোগী হন। তারা খুবই সৌভাগ্যবান। কিন্তু জিলহজের শুরু থেকে অনেকেই বিশেষ আমলে সময় দিতে পারেননি। তাদের জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে নাজাতের পথ। খোলা আছে মুক্তির দরজা।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। নবীজি বলেন, আরাফার দিনে যে পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয় অন্য কোনোদিন তত পরিমাণ মুক্তি দেওয়া হয় না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩৪৮)
সবাই শত্রু থেকে দূরে থাকতে চায়। শত্রুকে পরাস্ত ও ঘায়েল করার পথ খুঁজে। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য এবং স্থায়ী শত্রু। মানুষের আমৃত্যু এই শত্রুকে পরাস্ত করার অন্যতম উপায় হলো আরাফার দিনের আমল।
নবীজি বলেন, আরাফার দিন শয়তান সবচেয়ে বেশি অসহায়, বিতাড়িত, অপমানিত এবং রাগান্বিত থাকে। কারণ এদিন সে আল্লাহর আবারিত রহমত বর্ষিত হতে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে মাগফিরাত লাভ করতে দেখে। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৯৪০)
আরাফার রোজায় মুছে যাক পাপের সব কালিমা। সবার উপর বর্ষিত হোক রবের রহমত শিশির। দোযখের দহন থেকে মুক্তি পাক সকল মানুষ।
লেখক: শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা-১২১৯

