আশুরার যে আমলকে নবীজি বেশি গুরুত্ব দিতেন

মুহাম্মদ এনায়েত কবীর
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

ফলো করুন |
|
---|---|
আরবি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের ১০ তারিখ আশুরা। আশুরা বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। পাপ মুক্তির বার্তা নিয়ে আসে আশুরা।
এই দিনের রোজা রমজানের পর সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রোজা। আগে এই রোজা ফরজ ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর তা এখন নফল। তবে ফজিলতের দিক থেকে এই রোজা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি নবীজিকে রমজান ও আশুরার মতো গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোনো রোজা রাখতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১/২১৮)
কিছু আমল এমন যা প্রিয় নবীজি কখনো ছাড়েননি। সেই আমলগুলোর একটি হলো আশুরার রোজা।
হজরত হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নবীজি কখনো চারটি আমল ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতিমাসের তিন দিনের রোজা এবং ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২৪১৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৬৩৩৯)
আশুরার রোজা সম্পর্কে এক হাদিসে নবীজি বলেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পরে সর্বোত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। (সহিহ মুসলিম ১/৩৫৮)
পাপে পাপে কলুষিত আমাদের হৃদয়। অপরাধের কালো ছায়ায় আচ্ছন্ন আমাদের জীবন। গুনাহমুক্ত স্বচ্ছ জীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসে আশুরা।
প্রিয় নবীজি বলেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি রোজাদারের অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১১৬২)
অপর এক হাদিসে নবীজি বলেন, রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখ। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)
আশুরার রোজা কয়টি? সরাসরি হাদিসের পাকেই রয়েছে এর উত্তর। নবীজি ইরশাদ করেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ। এবং আশুরার আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে দিও। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং-২১৫৪)
আশুরার রোজা ২টি। এক্ষেত্রে আশুরার দিন একটি রোজা এবং এর আগের দিন অথবা পরের দিনসহ মোট ২টি রোজা রাখতে হয়। এ বছর ৫ এবং ৬ জুলাই শনি ও রোববার কিংবা ৬ এবং ৭ জুলাই রোবার এবং সোমবার এই দুই দিন রাখা যাবে।
লেখক: শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসা, ঢাকা।