অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যখনই পিআর পদ্ধতির কথা বলি তখনই আপনি সংবিধান দেখান। সংবিধান মানলে তো আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন সেটা অবৈধ। সংবিধান মানলে তো শেখ হাসিনার সংবিধান অনুযায়ী- পাঁচ বছর পর ২৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তাহলে ২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা কেন বলছেন?

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, আমাদের দাবি পিআর মানতে হবে। সার্ভেতে ৭০ ভাগ মানুষ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে। একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারে না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আসে নাকি বিপক্ষে আসে যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে তাহলে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায় তাহলে আমরা জামায়াতে ইসলামী মেনে নেব। কিন্তু তারা তো গণভোটকে ভয় পাচ্ছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, গায়ের জোরে দেশ শাসনের দিন শেষ হয়ে গেছে। বিরোধী দলকে দমন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন যারা দেখেন, সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। সাহস থাকলে গণভোট দেন। জনগণের রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রাখি। গায়ের জোরে কিছু ঠেলে দিয়ে চলে যাবেন- তা হবে না।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন না করে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয়, তাহলে আর একটি হাসিনার জন্ম হবে, আর একটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বাংলার মানুষ তা হতে দেবে না।

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, পিআরের মধ্য দিয়ে সবার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যদি পেশিশক্তি ও কালো টাকামুক্ত কোয়ালিটিপূর্ণ পার্লামেন্ট হয়, সরকার গঠন হয়- তাহলে কোনো দলের পক্ষে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। তাই তারা পিআর ঠেকাতে চায়।