কোলেস্টেরলের কারণে দুধ খাওয়া ছেড়েছেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে যে অসুখগুলো সবচেয়ে বেশি হয় তার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া অন্যতম। একবার কোলেস্টেরল ধরা পড়লে শুরু থেকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
এই সমস্যা যদি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়, তা হলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কোলেস্টেরলের রোগীদের নিজেদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
কোলেস্টেরল থাকলে অনেক কিছুই খাওয়া যায় না।কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই রোজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার। এই অভ্যাস কি ভালো?
কোলেস্টেরল বাড়ার সঙ্গে দুধ না খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই, এমনটাই জানালেন পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী। তিনি জানান, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে যদি অ্যালার্জি না থাকে, তা হলে দুধ খাওয়া যেতেই পারে। তবে এমন দুধ খাবেন না যাতে ফ্যাটের মাত্রা বেশি। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে ডবল টোনড দুধ বা ফ্যাট ছাড়া যে দুধ পাওয়া যায়, তা খাওয়াই ভালো। চিজ়, মিল্কমেড জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে পনির খাওয়া যেতেই পারে।
শরীরে খারাপ ও ভালো দুই প্রকারের কোলেস্টেরল থাকে। খারাপ কোলেস্টরলকে বলা হয় ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এলডিএল) এবং ভালো কোলেস্টেরলকে বলা হয় ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এইচডিএল)। এটি খারাপ কোলেস্টেরলকে শোষণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই শরীরে এইচডিএল-এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি।
দুধ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অনেকেই আছেন, যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় দুধ এড়িয়ে চলেন, তবে গবেষণা বলছে পরিমিত মাত্রায় দুধ খেলে ওজন বাড়ে না। দুধ থেকে তৈরি ঘি খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো।
তবে দিনে দু’চামচের বেশি ঘি না খাওয়াই ভালো। পরিমিত খেলে শরীরে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ঢুকবে, যা টক্সিন দূর করবে।
পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড যদি বেশি থাকে, তা হলে উদ্ভিজ্জ দুধ খেলে ভালো হয়। আমন্ড মিল্ক, ওট্ মিল্ক, কোকোনাট বা সয়া মিল্ক খেলে পুষ্টিও হবে, ওজনও বাড়বে না। উপরি পাওনা হল, হজমের সমস্যা দূর হবে।
গরুর দুধে যতটা প্রোটিন থাকে, উদ্ভিজ্জ দুধে ততটা থাকে না। এই ধরনের দুধে প্রোটিনও দ্বিতীয় শ্রেণির। তবে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি ভরপুর মাত্রায় থাকে। তা ছাড়া এই ধরনের দুধ সহজপাচ্য, ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমাতে চাইছেন যারা, তাদের জন্য আদর্শ।
সয়া মিল্কে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, আয়রন থাকে। ওট্স বা অন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এতটাই ফাইবারসমৃদ্ধ হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ধরনের দুধে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। তাই হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যা থাকলে উদ্ভিজ্জ দুধ খাওয়াই বেশি ভালো।
