ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বর্তমানে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়; এটি আমাদের জীবনের একটি ঠিকানা। মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল কেনাকাটা, মোবাইল টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর প্রয়োজন পড়ে। মোবাইল ফোন এখন নিত্যসঙ্গী। এ কারণে একটি টেকসই ও নির্ভরযোগ্য ফোনে বিনিয়োগ করাটা সময়ের দাবি। এমন পরিস্থিতিতে আইফোনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু নতুন আইফোনের দাম সবার সাধ্যের মধ্যে নাও হতে পারে। তাই অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ব্যবহৃত বা রিফারবিশড আইফোন।
আর আইফোন কিনতে গেলে শুধু দাম নয়, খেয়াল রাখতে হবে ফোনটির স্বাস্থ্য, পানিতে পড়ে ক্ষতি, ব্যাটারি ও মডেলের বয়সের মতো বিষয়গুলো। একটু গবেষণা আর সচেতনতার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো মানের আইফোন পেতে পারেন কম দামে, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে হবে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
আইফোনের টেকসই গঠন, নিরাপত্তা এবং অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট সুবিধা থাকায় পুরোনো হলেও এসব বেশ ভালো সার্ভিস দেয়। তাই যে কোনো পুরোনো ডিভাইস কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তাই এমন ছয়টি বিষয় যা দ্বিতীয় হাতের আইফোন কেনার আগে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন দিকগুলো আমাদের নজরে রাখা উচিত।
১. বিশ্বস্ত বিক্রেতা
আমরা অনলাইনে অনেক লোভনীয় অফার দেখতে পাই, কিন্তু এর মধ্যে অনেক প্রতারণার ফাঁদও লুকিয়ে থাকে, যা আমরা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারি না। তাই সবসময় নির্ভরযোগ্য রিফারবিশড ইলেকট্রনিকস প্ল্যাটফর্ম থেকেই কেনাকাটা করুন। রিভিউ পড়ুন, রিটার্ন পলিসি যাচাই করুন এবং অস্বাভাবিক কমদামে বিক্রি হওয়া ফোন থেকে দূরে থাকুন।
২. ব্যাটারির অবস্থা ভালোভাবে যাচাই করা
প্রথমেই ব্যবহৃত ফোনের ব্যাটারি সাধারণত ব্যবহৃত অবস্থাতেই থাকে। তবে অ্যাপল সার্টিফায়েড রিফারবিশড আইফোনে নতুন ব্যাটারি, নতুন বাইরের কাভার, চার্জার এবং এক বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট নীতির ওপর নির্ভর করে, সেটি আগেই জেনে নিন।
৩. গ্রেডিং সিস্টেম বুঝে নিন
প্রতিটি রিফারবিশড প্ল্যাটফর্ম নিজস্ব গ্রেডিং সিস্টেম ব্যবহার করে। এই যেমন— গ্রেড এ, বি ও সি। এই গ্রেডিং দেখে ফোনের বাহ্যিক অবস্থা ও ব্যবহারজনিত ক্ষতির মাত্রা বোঝা যায়। তাই মোবাইল কেনার আগে সেগুলো ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন।
৪. পুরোনো মডেল এড়িয়ে চলুন
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, পাঁচ-ছয় বছরের বেশি পুরোনো মডেল না কেনার জন্য। কারণ পুরোনো মডেলগুলোতে নতুন আইওএস আপডেট আর সাপোর্ট নাও থাকতে পারে। ফলে অনেক অ্যাপ বা ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব নাও হতে পারে।
৫. পানিতে পড়ে ক্ষতি হয়েছে কিনা তা যাচাই করুন
আইফোনে পানির ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, Liquid Contact Indicator (LCI) দেখে। এটি সাধারণত সিম ট্রের ভেতরে থাকে। একটি টর্চ দিয়ে ভালোভাবে দেখুন— যদি লাল রঙ হয়, তবে ফোনটি পানিতে ভিজেছে। আর সাদা বা রুপালি থাকলে ফোনটি নিরাপদ।
৬. আইফোনের বাজারে আধিপত্য ও কেনার যৌক্তিকতা
এক গবেষণা অনুযায়ী, দ্বিতীয় হাতের মোবাইলের বাজারে আইফোনের অংশ ৬০ শতাংশেরও বেশি। কারণ পুরোনো আইফোনও তার ক্যামেরা, নিরাপত্তা ও গতি দিয়ে অনেক নতুন ফোনের চেয়ে ভালো পারফর্ম করে। উপরন্তু অনেক সময় ওয়ারেন্টি ও ফাইন্যান্স অপশনও পাওয়া যায়।
