ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক আলাপের উপকারিতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ক্যান্সার রোগীদের মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা কমাতে ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চিকিৎসার সময়ে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ করলে রোগীরা মানসিক সান্ত্বনা পান।
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের গবেষকরা জানান, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের রোগীরা রেডিয়েশন থেরাপি চলাকালে চিকিৎসকদের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মবিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করলে উপকৃত হন।
গবেষণাটির বিশেষত্ব হলো- এটি প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করেছে, রোগীরা আসলে চিকিৎসা চলাকালে কোন ধরনের আধ্যাত্মিক প্রশ্ন বা আলাপকে বেশি গুরুত্ব দেন। অংশগ্রহণকারী রোগীরা জানিয়েছেন, এসব আলাপ তাদেরকে শুধু বোঝা ও মূল্যায়িত হওয়ার অনুভূতি দেয়নি, বরং মানসিক চাপ মোকাবিলায় শক্তিও জুগিয়েছে।
ধর্মবিশ্বাসে মানসিক শক্তি
গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশই জানিয়েছেন তাদের জীবনে ধর্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে স্বীকার করেছেন, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতা তাদের বিষণ্নতা কমিয়ে দিয়েছে এবং রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে দৃঢ়তা এনে দিয়েছে।
গবেষকরা জানান, ক্যান্সার রোগীরা সহজেই মানসিক চাপ ও হতাশায় ভোগেন। চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও ৪০ শতাংশের বেশি রোগীর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ট্রমার প্রভাব দেখা যায়। এ অবস্থায় আধ্যাত্মিকতা এক ধরনের শক্তিশালী মানসিক সহায়তা হিসেবে কাজ করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব
গবেষণায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। চিকিৎসার সময়ে রোগীদের ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দিলে তাদের মানসিক সুস্থতা বাড়ে।
এ ধরনের সহায়তা পাওয়া রোগীরা বেশি শান্ত, আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন। গবেষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসার নিয়মিত অংশ হিসেবেও আধ্যাত্মিক সহায়তাকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
গবেষক দলটি এখন আরও বৃহত্তর পরিসরে গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি ক্যান্সার শনাক্তের প্রাথমিক পর্যায়েই এসব সহায়তা কার্যকর করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ মডিউল ও প্রটোকল তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে রোগীদের ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

