Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

কলা খেয়েও যেভাবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

কলা খেয়েও যেভাবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

কলা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী একটি ফল। কলায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে। কারণ কলায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতার মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরকে সমৃদ্ধ করে তোলে। 

কলার স্বাস্থ্যগুণের বৈশিষ্ট্য বলে শেষ করা যাবে না। কারণ হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা অনেক। মানসিক অবসাদে ভুগলেও প্রতিদিন কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কলায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এগুলো শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে খালি পেটে এ ফল খেলে উপকারের চেয়ে অপকারের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। পাকা কলায় চিনির পরিমাণও অনেক বেশি। অনেক ক্ষণ উপোস থাকার পর কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে দিনের শুরুতে কলা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। 

এর পাশাপাশি খালি পেটে কলা খেলে সমস্যা উল্টো বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালে কলা খেতে পারেন, তবে অবশ্যই খালি পেটে নয়। কিছু না খেয়ে প্রথমেই কলা খেলে অ্যাসিড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ওটস, পাউরুটি বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ার পর কলা খেতে পারেন। তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিংবা কলা, ওটস, বেরি, মেপল সিরাপ, কাঠবাদাম দিয়ে একটি স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।

তবে কোন ধরনের কলা কারা খেলে বেশি উপকার পাবেন, সে খবর রাখেন কি?

কাঁচকলা 

কাঁচকলা প্রিবায়োটিকের ভালো উৎস। প্রিবায়োটিক হলো— এক ধরনের ফাইবারজাতীয় উপাদান। এটি পাচিত হয় না। তবে অন্ত্রে ভালো ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফাইবারে ভরপুর কাঁচকলায় চিনির পরিমাণ খুবই কম থাকে। যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ডায়েটে এ কলা রাখা যেতেই পারে।

হালকা সবুজ কলা

হালকা সবুজ ধরনের কলা খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। অনেকেই সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কলা খান না। তারা এ ধরনের কলা খেতেই পারেন। তবে কলা যে কেবল পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের কলা ফাইবারেরও ভালো উৎস।

পাকা কলা 

পাকা কলায় রেজিস্ট্যান্স স্টার্চের মাত্রা কম থাকে। তাই সুগারের রোগীদের জন্য এই কলা না খাওয়াই ভালো। তবে এ ধরনের কলায় ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। ফলে কলা হজম করা সহজ। শরীরচর্চার আগে প্রি-ওয়ার্কআউট স্ন্যাক্স হিসাবে পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।

অতিরিক্ত পাকা কলা 

কলা বেশি পেকে গেলে খোসার গা জুড়ে বাদামি রঙের ছোপ পড়ে। এ কলা অতিরিক্ত মিষ্টি হয়। স্মুদি বানানোর জন্য বা বেকিংয়ের কাজে অতিরিক্ত পাকা কলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ধরনের কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। তবে কলা পেকে গেলে ফাইবারের মাত্রা কমে যায়। সুগারের রোগীদের অতিরিক্ত পাকা কলা না খাওয়াই ভালো।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম