রাগের সঙ্গে রক্তচাপের কি কোনো সম্পর্ক আছে? যা বলছে গবেষণা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কথায় কথায় অনেককেই মাথা গরম করতে দেখা যায়। আর মাথা গরম করলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। এমনটি প্রায়ই শোনা যায়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ভিন্নকথা। রাগের সঙ্গে নাকি রক্তচাপের কোনোই সম্পর্ক নেই। মানসিক চাপের সময় রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়ে—এটা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাইপারটেনশন তৈরি করার ক্ষেত্রে রাগ বা ক্রোধের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই।
এ বিষয়ে বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. নাগামল্লেশ জানিয়েছেন, রক্তচাপ কিংবা হাইপারটেনশনের সঙ্গে রাগের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। উচ্চ রক্তচাপ মূলত বয়স, জিনগত কারণ এবং জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে। ৪০-৫০ বছরের বেশি বয়সিদের এটি নিয়ম করে পরীক্ষা করানো উচিত।
তিনি বলেন, তবে বর্তমানে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর ও অলস জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সিদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়। তাই রাগের পাশাপাশি ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত ভোজন কিংবা অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো খারাপ অভ্যাসগুলোই দীর্ঘমেয়াদি হাইপারটেনশনের আসল কারণ।
ড. নাগামল্লেশ আরও বলেন, ক্রোধ একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এটি হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। হৃৎপিণ্ড হলো একটি রক্ত পাম্প করার পেশি মাত্র। রাগের তীব্র প্রকাশ সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়ালেও, এটি স্থায়ী হাইপারটেনশন তৈরি করে না।
চলুন জেনে নিই হাইপারটেনশনের মূল কারণ—
১. রাগ ক্ষণিকের জন্য রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হাইপারটেনশন তৈরি করে না।
২. বয়স, জিন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, স্থূলতা এবং অলস জীবনযাত্রা উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ।
৩. ফাস্টফুড, ডেস্ক জব এবং ব্যায়ামের অভাবে ৩০-৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখতে মেজাজ নয়, জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
যেভাবে সতর্ক হবেন—
১. শান্ত মানুষেরও উচ্চ রক্তচাপ থাকতে পারে।
২. রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রাণায়াম করুন।
৩. ৩০ বছরের পর একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করান।
৪. ধূমপান ছাড়ুন এবং শরীরচর্চা করুন। বাইরে থেকে কেনা খাবার কমিয়ে দিন। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
