কিছুতেই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না? করণীয় জানুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ধূমপান করছেন কি? শুরুতেই এমন প্রশ্ন অনেকের জন্য অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে। চারপাশে তাকালেই দেখা যায়, উঠতি বয়সের ছেলে থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত অনেকেই ধূমপান করেন। ধূমপানের প্যাকেটের গায়ে স্পষ্টভাবে লেখা থাকে “ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর”, তারপরও অনেকেই থামতে পারেন না।
ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা অনেকেই করেন, কিন্তু তা সহজ নয়। এই সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য সুখবর দিলেন ভারতীয় চিকিৎসক ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ধূমপান ছাড়তে না পারার মূল কারণ হলো মস্তিষ্কে নিকোটিনের প্রভাব। এটি মূলত শারীরিক নির্ভরতা, মানসিক নয়। নিকোটিন ছাড়ার সময় শরীরে ক্রেভিং তৈরি হয়, যা সাধারণত ধূমপান ছাড়ার তৃতীয় দিনে শুরু হয়।
ক্রেভিং কী?
ক্রেভিং হলো হঠাৎ তীব্র ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা, যা কোনো অভ্যাস, খাবার, পানীয় বা পদার্থের জন্য অনুভূত হয়। এটি সাধারণ ক্ষুধার চেয়েও শক্তিশালী।
ডা. নারায়ণ বলেন, ধূমপান ছাড়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ক্রেভিং দেখা দেয়। এই সময় ধূমপায়ীরা অস্থির, খিটখিটে বা মনোযোগহীন হয়ে পড়তে পারেন।
ধূমপান ত্যাগের ধাপ:
১. প্রথম তিন সপ্তাহ ধৈর্য ধরে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে।
২. এই সময় হাতে কিছু রাখতে পারেন—যেমন কলম, চুইংগাম, চকোলেট বা লজেন্স।
৩. তিন সপ্তাহের পর বিশ্বাস তৈরি হয় যে ধূমপান ছাড়াই থাকা সম্ভব। তিন মাস ধরে এ বিশ্বাস শক্তিশালী হয়।
৪. তিন বছর ধূমপান ছাড়া থাকা মানে অ্যাডিকশন থেকে মুক্তি।
ডা. নারায়ণ উল্লেখ করেন, ধূমপান থেকে মুক্তির জন্য ক্রেভিংকে রেজিস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (চুইংগাম বা প্যাচ) ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। এছাড়া, ধূমপানরত মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকা এবং ক্রেভিংয়ের সময় অন্য কাজে মন দেওয়া কার্যকর।
