Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

মাথায় টাক পড়ার কারণ হার্টের অসুখ নয় তো?

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

মাথায় টাক পড়ার কারণ হার্টের অসুখ নয় তো?

বয়সের আগেই টাক পড়ে যাওয়ার সঙ্গে না কি হার্টের স্বাস্থ্যের সংযোগ রয়েছে। আপাতভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হলেও হার্ট ও রক্তনালিকাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বিস্তারিত জানিয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।

মাথায় টাক পড়ে গেলে কেবল শারীরিক সৌন্দর্য নিয়েই চিন্তায় পড়েন পুরুষরা। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যারা বহুদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, অথচ চিকিৎসা করাননি, তাদের নিয়ে এ গবেষণাটি করা হয়েছে। 

আথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে ‘পাবমেড জার্নাল’-এ। এতে বলা হয়েছে, যে পুরুষরা উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করাননি, তাদের ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং করোনারিসংক্রান্ত রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে গুরুতর অ্যালোপেসিয়া।

যাদের হার্টের ছোট ছোট রক্তনালিকাগুলোতে অল্প রক্ত পৌঁছাচ্ছে। পরবর্তীকালে তারা হার্টের রোগে আক্রান্ত হন। যাদের চুল ঝরে পড়ার সমস্যা কম, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। রক্তপ্রবাহই যদি ভালো না হয়, তাহলে হার্টের রোগের কবলে পড়তে সময় লাগে না।

গবেষণার দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন ভারতের মেডিসিনের চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝি। তিনি বলেছেন, টাকপড়ার ঘটনা হার্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। কেবল টাক পড়া নয়, পেটে প্রচুর মেদ জমা, চোখের তলায় সাদা সাদা ছোপ পড়া, কানের লতিতে ভাঁজ পড়া, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো ঘটনাগুলোও হার্টের রোগের ইঙ্গিত বহন করে। 

চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝি বলেছেন, চুল পড়ার সঙ্গে হার্টের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু যে কারণে চুল পড়ছে, সেই কারণটির সঙ্গে হার্টের সম্পর্ক রয়েছে। ছোট ছোট রক্তনালিকাগুলোতে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। চুলের ফলিকলগুলোতে সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছায় না। তার মানে হার্টেও ঠিকমতো রক্ত প্রবেশ করতে পারছে না। সে জন্য মাইক্রোভাস্কুলার ডিসফাংশনই এখানে দায়ী। আর মাইক্রোভাস্কুলার ডিসফাংশন হয় এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশন থেকে। 

এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশন একটি ক্ষতিকারক অবস্থা, যেখানে এন্ডোথেলিয়াম সঠিকভাবে কাজ করে না। যার ফলে রক্তনালির শিথিলতা কমে যায়, প্রদাহ হয় এবং জমাট বাঁধা বৃদ্ধি পায়, যা হার্টের রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাজ করে। আর মাইক্রোভাস্কুলার ডিসফাংশন যেভাবে চুল ঝরেপড়ার নেপথ্যে কাজ করে। একইভাবে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায় মাইক্রোভাস্কুলার ডিসফাংশনের কারণে। 

চিকিৎসক বলেন, মাইক্রোভাস্কুলার ডিসফাংশন ছাড়াও প্রদাহ একটি কারণ। প্রদাহের জন্য টাক পড়তে পারে। আবার একই কারণে হার্টের অসুখও হতে পারে। এ ছাড়া ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও স্থূলত্বও দুটি ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই এই দুটি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

অভিজ্ঞান মাঝি আরও একটি বিষয়ের কথা তুলে ধরেছেন। ডিএইচটি-র উচ্চমাত্রা বা ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন অর্থাৎ অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা পুরুষদের চুল পড়া, ব্রণ ও প্রোস্টেট বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এটি হলে করোনারি আর্টারি রোগ হতে পারে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম