শীতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পাঁচ ভেষজ উপাদান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১২ এএম
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান যুক্ত করলে শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে যায়, বাড়ে সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকি। এ সময় শরীর সুস্থ রাখা এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে,
আদা: প্রদাহ রোধে প্রাকৃতিক ঢাল
আদা দীর্ঘদিন ধরেই এর ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা জোরদার করে। মধু মিশিয়ে গরম পানীয় হিসেবে কিংবা রান্নায় আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।
হলুদ: রোগ প্রতিরোধের সহায়ক
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দারুচিনি: উষ্ণতা ও রোগ প্রতিরোধে উপকারী
দারুচিনি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে। একই সঙ্গে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। মধুর সঙ্গে পানীয় হিসেবে বা খাবার ও ডেজার্টে দারুচিনি যোগ করা যেতে পারে।
পুদিনা: মৌসুমি রোগে সুরক্ষা
সুগন্ধি পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণাগুণ, যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা নাক বন্ধ ও শ্বাসকষ্ট কমাতে প্রতিদিন এক কাপ গরম পুদিনা চা পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
গ্রিন টি: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার
গ্রিন টি-তে থাকা পলিফেনল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং নানা অসুখ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। চিনি ছাড়া দিনে এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এগুলোর পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম শীতকালজুড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

