Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

কোলেস্টেরল বাড়া কিংবা কমা—দুটিই দুশ্চিন্তার কারণ, যেভাবে করবেন সমাধান

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ এএম

কোলেস্টেরল বাড়া কিংবা কমা—দুটিই দুশ্চিন্তার কারণ, যেভাবে করবেন সমাধান

আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া মানেই তা উদ্বেগের কারণ। আবার কমে গেলেও দুশ্চিন্তা। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত কম কোলেস্টেরলও শরীরের ক্ষতি করে। খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ে সবারই দুশ্চিন্তা থাকেন। রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গেলেই ক্ষতি। 

আবার বর্ধিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে যদি কোলেস্টেরল খুব কমে যায়, সে ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম চিন্তার। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত কম কোলেস্টেরল নানা শারীরিক সমস্যার বড় কারণ। কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে যেমন ওষুধ খেতে হয়, কমে গেলেও তাই। তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কারণ কোলেস্টেরলের ভালো দিকও যেমন আছে, আবার খারাপও আছে। ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। আর খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) হার্টের ধমনিতে জমতে জমতে রক্ত চলাচলের পথে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চিন্তাও বাড়ে। তবে যদি কোলেস্টেরল খুব কমে যায়, তখন নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আর এতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হলেই বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) স্বাভাবিক মাত্রা হওয়া উচিত প্রতি ডেসিলিটারে ৪০ মিলিগ্রাম এবং নারীর ক্ষেত্রে ৫০ মিলিগ্রাম। এর চেয়ে কমে গেলে তখনই ক্ষতি।

রক্তে কোলেস্টেরল কমে যাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়— ‘হাইপোলিপিডেমিয়া’। এর ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে মানসিকভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ বেড়ে যায়। এর ফলে হেমারেজিক স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আর কোলেস্টেরল কম থাকলে শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে চর্বিতে দ্রবণীয় শোষণ করতে পারে না। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রে রক্তে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা কমে গেলে সময়ের আগে সন্তানের জন্ম হতে পারে। অথবা জন্মানোর পর শিশুর ওজন খুব কম হতে পারে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম