Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

সৌদিতে দেখার যা আছে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৫ এএম

সৌদিতে দেখার যা আছে

রিয়াদের মাসমাক দুর্গ। ছবি সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে দেশটিতে সৌদি আরবে কেবল প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার আছে। এ ছাড়া মক্কা -মদিনার পবিত্র স্থানগুলো মুসলিমদের জন্যই সীমিত করা ছিল।

ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, ৪৯টি দেশের নাগরিকেরা সৌদি আরবে ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে এই আবেদন করা যাবে।

ভিসা দেয়া তো দেয়া শুরু হলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সৌদিতে ঘুরে দেখার কী আছে? আর সৌদিতে গেলে কোথায় ঘুরতে যাবেন। 

দেশটির যেখানে যেখানে দর্শনার্থীরা যেতে পারবেন, এরই এক ছোট তালিকা নিচে দেওয়া হলো-

আল ওয়াহবাহ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ

সৌদিতে তাইফ শহর থেকে প্রায় আড়াই শ কিলোমিটার দূরে পড়বে আল ওয়াহবাহ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ। এটি মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত। বিশালাকৃতির মৃত জ্বালামুখটি প্রায় ৮২০ ফুট গভীর। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিব্রাজকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

প্রাচীন নগরী মাদাইন সালেহ

২০০৮ সালে সৌদির মাদাইন সালেহর নাম ওঠে এসেছে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ  সাইটে। প্রাচীন এই শহরে রয়েছে- অনেকগুলো সমাধিক্ষেত্র, ছোট ছোট বেদি ও পোড়ামাটির ঘর।

ঐতিহাসিক জেদ্দা ও মক্কা গেট

সৌদি আরবের আরেকটি বিশ্বঐতিহ্যের স্থান হলো মক্কা গেট। জেদ্দায় এর অবস্থান। ইতিমধ্যে ইউনেসকো ঘোষিত ঐতিহাসিক স্থান এটি। 

সপ্তম শতকে জেদ্দা হয়ে ওঠে ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য রুটের প্রধান বন্দর। একই সঙ্গে মক্কায় যাওয়ার উদ্দেশে সাগরপথে আসা হজযাত্রীদের প্রবেশপথ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয় এটি।

রিয়াদের মাসমাক দুর্গ

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ১৮৬৫ সালে মাসমাক দুর্গ প্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯০২ সালে রাজপরিবারে নির্বাসিত সদস্য আবদুলআজিজ বিন আবদুল রাহমান বিন ফয়সাল আল সৌদ তার পিতৃপুরুষের আদি শহর রিয়াদে ফেরেন এবং এই দুর্গ দখল করেন। 

কিং ফাহাদ ঝরনা

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ঝরনা হলো জেদ্দার কিং ফাহাদের ঝরনা। রক্ষণশীলেরা বলে থাকেন, প্রয়াত রাজা ফাহাদ শহরটিতে এই ঝরনা উপহার দেন। রাতে এই ঝরনায় পাঁচ শর বেশি বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করানো হয়। এখন চাইলেই ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থীরা এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

 

সৌদি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম