ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শীত শেষে দাপট দেখাচ্ছে গরম। ঘেমেনেয়ে যখন একাকার অবস্থা তখন হঠাৎ একদিন দেখবেন মুখে ছোট ছোট কিছু একটা উঠছে। ধরলে ব্যথা লাগে, মুখের শ্রীও নষ্ট করে দিয়েছে। এটাই ব্রণ—এটি যতটা না শরীরকে কষ্ট দেয়, তার চেয়ে বেশি হতাশা এনে দেয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি দূর হবে নিমিষেই।
ব্রণ কেন হয়
ব্রণ হওয়ার নেপথ্যে অবশ্যই কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হল, ঘুম কম। অনেকেরই রাতে ঘুম হয় না। এরপরেই দুশ্চিন্তা। অনেকরই অল্পতেই দুশ্চিন্তা করার স্বভাব থাকে। এই দুশ্চিন্তাই যে ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে তা ভাবতেই পারেন না ভুক্তিভোগিরা।
অনেক ধরণের রাসায়নিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন নারীরা। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও এই ব্রণ হয়ে থাকে। বাইরের খাবার খাওয়ার ফলেও এই সমস্যায় পড়তে পারেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও হতে পারে কারণ।
ব্রণ হলে কী করবেন
- মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে মুখ ধুতে হবে। মেকআপ ব্যবহার করলে সঠিক উপায়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
- মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল বা খুশকি থাকলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, ভিটামিন সমৃদ্ধ ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের চিনি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রোবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
- অতি মাত্রায় ব্রণ হলে, ব্রণ থেকে ত্বকে গর্ত বা দাগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক ব্রণের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।
ব্রণ হলে কী করবেন না: ব্রণ হলে সেখানে হাত দেওয়া যাবে না, ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। আয়নায় নিজেকে দেখে অথবা ছবি তুলে বারবার দেখা থেকেও বিরত থাকুন। এতে হতাশা বাড়বে। ব্রণের ভেতরে থাকা পুঁজ বের করা যাবে না। পুঁজ বের করলেই দাগ বেশি হয়, গর্ত হয়, বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে ত্বকে।
