যেসব সবজি গরমে শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৩১ এএম

গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর আশঙ্কাজনক হারে পানি হারাতে শুরু করে। এর ফলে দেখা দেয় পানিশূন্যতা, যার দীর্ঘস্থায়িত্ব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। মানবদেহের এই ভারসাম্যহীনতার কারণে শুরু হয় মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শুষ্ক মুখমণ্ডলের। এই অসহনীয় দাবদাহের কারণে সময়টাকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উচ্চ পানীয় উপাদানসমৃদ্ধ শাকসবজি। যে খাবারগুলো শরীরের হারানো পানি পুনরায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেহের রোগমুক্তিতেও সাহায্য করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে যেসব শাকসবজি খেলে আমাদের শরীরের রোগমুক্ত থাকবে।
শসা
শসা প্রায় ৯৫ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ। শসা গরমের জন্য উপযোগী সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সহায়তা করে। শসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে— বিটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আর ফ্রি র্যাডিকেল হলো— জোড়াহীন ইলেকট্রন, যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া রোদের তীব্র রশ্মির কারণে ত্বকে রোদে পোড়া ব্যথা, ফোলাভাব এবং ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থা থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সাহায্য করতে পারে শসা। চোখের নিচে এক বা দুই টুকরো শসা রাখলে চোখের কালো দাগ ও ফোলাভাব কমে আসে।
পালংশাক
পালংশাক বেশ পুষ্টিকর খাবার। কাঁচা পালংশাকে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ফোলেট। এই শাকে থাকা লুটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের রোগ ও ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া লুটেইন চোখের লেন্সের ওপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
এ ছাড়া শরীরের ত্বকসহ নানা ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের টিস্যু বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য, যা পালংশাকের অন্যতম উপাদান। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে মুখে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা কমে যায়।
টমেটো
ভিটামিন ও পটাশিয়ামের আধার টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। লাইকোপিন নামক পদার্থ টমেটোর উজ্জ্বল লাল রঙের কারণ। শুধু তাই নয়, টমেটোর মধ্যে রয়েছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য। তাই এই ফল মানবদেহের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। একই কারণে টমেটো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। লাইকোপিনের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্ভিদ যৌগ রোদে পোড়া থেকে রক্ষার কাজে অংশ নেয়।